পিএসএল: ডিআরএসে ‘ভুল বল’ দেখানোর অভিযোগ শাদাবের

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে বিতর্কের যেন শেষই হচ্ছে না। ভারত ও ইংল্যান্ডের চলমান টেস্ট সিরিজে ডিআরএস বিতর্কের মাঝে নতুন করে তা উস্কে দিয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। ডিআরএস নিয়ে এই অভিযোগ তুলেছেন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অধিনায়ক শাদাব খান। তার দাবি, ম্যাচে বল-ট্র্যাকিংয়ে (বলের গতিপথ) যে ডেলিভারি দেখানো হয়েছে তা ভুল ছিল।

বৃহস্পতিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে মাঠে নামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। ইসলামাবাদের দেওয়া ১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোয়েটা অধিনায়ক রাইলি রুশো রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটার ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে ৩ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

কোয়েটা ইনিংসের ১১তম ওভারের শেষ বলে ডিআরএস বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ইসলামাবাদ অফ-স্পিনার আগা সালমানকে সুইপ করতে গেলে বল রুশোর প্যাডে লাগে। সে সময় ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রুশো। বোলার ও ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার আলিম দার আঙুল তুলে ব্যাটারকে আউট ঘোষণা করেন। তবে কোয়েটা অধিনায়ক রিভিউ নিলে বল-ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, বলের পিচিং, ইমপ্যাক্ট ও হিটিং—সবই অফ-স্ট্যাম্পের বাইরে, যা দেখে অবাক হয়ে যান ইসলামাবাদের ফিল্ডাররা।

তবে বল-ট্র্যাকিংয়ের আগে স্লো মোশন ভিডিওতে দেখা যায়, বলের ইমপ্যাক্ট যেখানে দেখানো হয়েছে এবং যে জায়গায় বল আসলেই প্যাডে লেগেছে, এই দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে।

ম্যাচ শেষে বল-ট্র্যকিংয়ের এই ভুল নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন শাদাব। পিএসএলের সম্প্রচার চ্যানেলের সঙ্গে আলাপকালে ইসলামাবাদ অধিনায়ক বলেন, “আমার মনে হয় প্রযুক্তিতে ভুল হয়েছে। এখানে ভিন্ন বল দেখানো হয়েছে। এ ধরনের বড় টুর্নামেন্টে এসব ছোট ভুল হওয়া উচিত নয়। আমি লেগ স্পিনার হয়ে ৪ ওভার করেছি। মনে হয় না বল এত ঘুরছিল। আর তারা দেখিয়েছে, আগার বল অফ-স্ট্যাম্পের বাইরে লাগত এবং ঘুরে বের হয়ে যেত। আমি তা বিশ্বাস করি না।”

সম্প্রতি ভারত–ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজেও ডিআরএস আলোচনায় এসেছে। রাজকোট টেস্টে বল-ট্র্যাকিংয়ে ভুল প্রজেকশনের কারণে জ্যাক ক্রলিকে আউট দেওয়া হয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ‘আম্পায়ার্স কল’ বাদ দেওয়া নিয়েও কথা বলেন। পরে জানা যায়, টেলিভিশনে যে বল-ট্র্যাকিংয়ে দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে হক-আইয়ের কাছে থাকা ডেটার পার্থক্য ছিল। এর আগে দ্বিতীয় টেস্টেও ক্রলির আউটের বিষয়ে ডিআরএস নিয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন স্টোকস।