‘শান্তর গলা ঠিক হলে প্রশ্নের জবাব দেবে’
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর এখন শেষের পথে। এই আসরে সবচেয়ে বড় রহস্য হয়ে রইলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স প্লে অফে যেতে পারেনি। আর শান্ত ১২ ম্যাচের সবকটি খেলে মাত্র ১৭৫ রান করেছেন। ব্যাটিং গড় ১৪.৫৮ ও স্ট্রাইক রেট মাত্র ৯৩.৫৮! সদ্যই জাতীয় দলের তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব পাওয়া শান্তর এই হালের কারণ কেউ জানে না। এমনকী তার দল সিলেট স্ট্রাইকার্সও নয়।
গত বিপিএলে এই নাজমুল হোসেন শান্তই রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। সিলেটের হয়ে ৫১৬ রান করে তিনি ছিলেন রান সংগ্রহের তালিকায় সবার ওপরে। দুইয়ে থাকা ব্যাটসম্যানের চেয়ে প্রায় একশ রান বেশি করেছিলেন তিনি। এ কারণে পারিশ্রমিক বাড়িয়ে তাকে এবারও ধরে রাখে সিলেট। কিন্তু এই আস্থার প্রতিদান তিনি দিতে পারেননি। এমনকী তার ওপর চাপ কমাতে মাশরাফি পরবর্তী সময়ে মোহাম্মদ মিঠুনকে সিলেটের অধিনায়ক করা হয়েছিল। কিছুতেই কিছু হয়নি।
শান্তর এই বাজে পারফর্ম্যান্সের কোনো জবাব নেই সিলেট অধিনায়ক মিঠুনের কাছে। গত শুক্রবার মিরপুরে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মিঠুন বলেন, “এটা তো আমি বলতে পারব না। এই প্রশ্ন শান্তর জন্য জমিয়ে রাখুন, ওর গলা ঠিক হলে উত্তর দিয়ে দেবে।”
শান্তর গলায় কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মিঠুন। তবে তার কথায় ফুটে উঠেছিল অভিমান, “আপনারাও জানেন, ও কত বড় খেলোয়াড়। সম্প্রতি তিন সংস্করণেই বাংলাদেশের অধিনায়ক হয়েছে। আমাদেরও আশা অনেক বেশি ছিল ওর ওপরে। তবে এটা তো ক্রিকেট… ও চেষ্টা কম করেনি। ওর দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তবে হয়নি আর কী… সবসময় সবকিছু তো সবার হাতে থাকে না যে চাইলেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।”
মিঠুন আরও বলেন, “ওর সঙ্গে যখন কথা বললাম, প্রতিটি ম্যাচেই তরতাজা হয়ে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আসত। তারপর আবারও ব্যর্থ হতো। একটা সময়ে খেলোয়াড় হিসেবে হতাশা একটু আসতেই পারে। ও শেষের দিকে চেষ্টা করেছে আরেকটু রিল্যাক্সড থাকতে। কারণ চেষ্টা করতে করতে যখন হয় না, তখন রিল্যাক্সড থাকাই ভালো। দলে ওর পুরো সাপোর্ট ছিল, মাঠে পুরো সাপোর্ট করেছে। দল হিসেবে অবশ্যই আমরা ওর সার্ভিস মিস করেছি। তবে আমরা সবাই জানি, শান্ত গ্রেট খেলোয়াড়। আশা করি ও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।”
মন্তব্য করুন: