ভালো বলেও ছক্কা মারেন কোটি টাকার হৃদয়

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ভালো বলেও ছক্কা মারেন কোটি টাকার হৃদয়

স্বপ্নের মতো বিপিএল কাটাচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়। প্রথম কোয়ালিফায়ারে অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গী হয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে তুলেছেন ফাইনালে। ব্যাট হাতে খেলেন ৪৩ বলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। অন্যপ্রান্তে ৫৭ বলে ৮৩ রান করা লিটনের সঙ্গে তার জুটি হয়েছিল ১৪৩ রানের। কুমিল্লা তাকে দলে নিতে কোটি টাকার ওপর খরচ করেছে। সেই টাকা যেন সুদে-আসলে উসুল করে দিচ্ছেন হৃদয়।

বিপিএলের গত আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১২ ইনিংসে ৩৬ গড় ও ১৪০ স্ট্রাইকরেটে ৪০৩ রান করেছিলেন হৃদয়। দ্রুতই তিনি জাতীয় দলেও জায়গা প্রায় পাকা করে ফেলেছেন। তাই এবার ড্রাফটের বাইরে থেকেই তাকে মোটা অংকের বিনিময়ে দলে ভেড়ান কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত হৃদয়ের সংগ্রহ ১৩ ইনিংসে ৪০.৬৩ গড়ে ৪৪৭ রান। স্ট্রাইকরেট ১৪৯.৪৯। টানা দুই আসরেই তিনি চারশতাধিক রান করেছেন। শুধু তাই নয়, বিপিএলের ইতিহাসে ১৪০+ স্ট্রাইকরেটে চারশতাধিক রান করা একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হৃদয়। এর আগে বিপিএলে এই কীর্তি গড়া সবাই বিদেশি।

এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিটাও এসেছে হৃদয়ের ব্যাট থেকে। সিলেটে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। হৃদয়ের সঙ্গে বাকি বাংলাদেশি ব্যাটারদের পার্থক্য হলো, তিনি প্রকৃত হার্ডহিটার। কুমিল্লা অধিনায়ক লিটন দাসের ভাষায়, হৃদয় ভালো বলেও অবলীলায় ছক্কা মারতে পারেন। ছোটখাট গড়নের হলেও বড় শট খেলায় তার জুড়ি নেই। এজন্য তাকে কঠোর পরিশ্রমও করতে হয়। অনুশীলনের পাশাপাশি অনেকটা সময় জিমে কাটান হৃদয়।

গত সোমবার মিরপুরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বড় জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে হৃদয়কে প্রশংসায় ভাসান লিটন দাস, “‘সে ভালো বলে ছয় মারতে পারে, যেটা আমাদের দেশে খুব কম ব্যাটসম্যান পারে। স্বাভাবিক, যেকোনো বোলার যে সংস্করণেই হোক না কেন, উইকেটেই বল করবে। আর সে উইকেটের বলটাই খুব বেশি ভালো মারে। এটা সে নয়, যারা বিশ্ব ক্রিকেটে সফল ব্যাটসম্যান, সবাই স্টাম্পের বল ভালো খেলে। আমার মনে হয়, এটা তার সবচেয়ে ভালো প্লাস পয়েন্ট। দেখতে ছোট হলেও বড় বড় ছয় মারতে পারে।

বিপিএল শেষেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ। তারপর জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ শেষে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ব্যস্ত সূচি আছে। হৃদয়ের এই ব্যাটিং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অব্যাহত থাকুক, এটাই প্রত্যাশা সবার।

মন্তব্য করুন: