বিপিএল ফাইনাল ঘিরে টিকিটের হাহাকার, পুলিশের লাঠিচার্জ
১ মার্চ ২০২৪
বহুদিন পর মিরপুরে দর্শকদের ঢল। টিকিটের জন্য বিশাল লাইন, কাউন্টার বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ টিকিট প্রত্যাশীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ- সবই হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বনাম ফরচুন বরিশালের বিপিএল ফাইনাল ঘিরে। মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায়। এর আগের দিন থেকেই মিরপুরে শুরু হয়েছে টিকিট যুদ্ধ।
বিপিএলের টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পুরনো। কাউন্টারে গেলে বলা হয় ‘টিকিট নাই’, অথচ বাইরে কালোবাজারীরা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করছেন। লম্বা লাইন এড়াতে বহু মানুষ বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের থেকে টিকিট কিনছেন। ফাইনাল উপলক্ষে কয়েক গুণ বেড়ে গেছে টিকিটের দাম। ঢাকা শহরে কুমিল্লা আর বরিশালের মানুষ বেশি থাকায় টিকিট নিয়ে এই হাহাকার তৈরি হয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
৪৫ ম্যাচের দীর্ঘ পরিক্রমা পেরিয়ে টুর্নামেন্ট এসে দাঁড়িয়েছে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে। যেখানে ট্রফির জন্য লড়বে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল। ফাইনালে কখনো না হারা কুমিল্লার সামনে এবার পঞ্চম শিরোপার হাতছানি। অন্যদিকে ফাইনালে তিনবার পরাজিত হওয়া ফরচুন বরিশালের সামনে এবার শিরোপার হাতছানি। টানা পরাজয় দিয়ে আসর শুরু করা তামিম ইকবালের দল এখন রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য।
বরিশালের তারকা অল-রাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন, “কুমিল্লা সব সময়ই অনেক বড় দল, তারা অনেক ভালো দল সব সময়ই গড়ে। প্রতিপক্ষ হিসেবে চ্যালেঞ্জিং হবে, সহজ হবে না। দুই দলের খেলাটা ভালো হবে। কারণ, আমাদের দলও অনেক শক্তিশালী। আমাদের দলেও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে, দেশের বাইরে যারা আছে, তারাও খুব ভালো খেলোয়াড়। ক্রিকেট এমন একটা খেলা, যেদিন যারা ভালো খেলবে তারা জিতবে। এর আগেও বরিশাল-কুমিল্লা ফাইনাল হয়েছে, সেবার বরিশাল ১ রানে হেরেছে। আশা করছি, আবার ভালো একটা ম্যাচ হবে, সবাই উপভোগ করবে।”
অন্যদিকে কুমিল্লার প্রধান কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেছেন, “আমার ছেলেরা কীভাবে ভালো খেলে, কীভাবে সেরা পারফরম্যান্স করতে পারে, সেটিই আমার দেখার বিষয়। সেরা পারফরম্যান্সের পর হেরে গেলেও আমার দুঃখ নেই। তবে পুরো টুর্নামেন্টে ছেলেরা অনেক ভালো খেলেছে। সেটা আমার কাছে অনেক আনন্দের ছিল। যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। দল যদি আমরাও ভালো না হতাম, আমরাও ফাইনালে আসতাম না। অন্য দল কী করল সেটা আমার কাছে মূখ্য নয়।”
কুমিল্লার কিপার-ব্যাটসম্যান জাকের আলী বলেছেন, “কুমিল্লা ফাইনাল খেলতে অভ্যস্ত। আমরা দল হিসেবে জানি, কীভাবে বড় ম্যাচে পারফর্ম করতে হয়। মনোযোগ সেখানেই থাকবে। যেহেতু ম্যাচটি ফাইনাল… অবশ্যই বরিশাল ভালো খেলেই এত দূর এসেছে। প্রতিপক্ষ হিসেবে সব দলকেই সম্মান করি। ফাইনালেও ব্যতিক্রম হবে না। সব সময় চেষ্টা করি সেরা ক্রিকেট খেলতে, ফাইনালেও চেষ্টা করব।”
মন্তব্য করুন: