টেন্ডুলকারের ‘ফিকশন’ বাস্তবে করে দেখালেন অ্যান্ডারসন

টেন্ডুলকারের ‘ফিকশন’ বাস্তবে করে দেখালেন অ্যান্ডারসন

একজন পেসার কত বয়স পর্যন্ত খেলে যেতে পারেন? ক্রিকেট ইতিহাস ঘাটলে চল্লিশোর্ধ পেসার পাওয়া রীতিমতো কঠিন হয়ে যাবে। ৪১ বছর বয়সেও ২২ গজে ঝড় তুলে জেমস অ্যান্ডারসন তো আগেই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন। এবার ৭০০ উইকেট শিকার করে যেন কল্পকথাকেও হার মানিয়ে দিলেন। ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের কাছে এটা কল্পকথার চেয়েও বেশি কিছু।

২০০২ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল অ্যান্ডারসনের। সেবারই প্রথম ২০ বছর বয়সী জিমিকে দেখে টেন্ডুলকার বলেছিলেন, এই তরুণ বহুদূর যাবে। সেটা যে এতদূর, টেন্ডুলকারও কল্পনা করতে পারেননি। সেই সময় কি অ্যান্ডারসন বা টেন্ডুলকারের কেউ ভাবতে পেরেছিলেন যে একজন পেসার টেস্টে ৭০০ উইকেট পেতে পারেন! তাই ধর্মশালা টেস্টে কুলদীপ যাদবকে আউট করে সাতশতম শিকার ধরার পর নিজের বিস্ময় উগড়ে দিয়েছেন টেন্ডুলকার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় টেন্ডুলকার লিখেছেন, অ্যান্ডারসনকে আমি প্রথম খেলতে দেখি ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ায়। বলের ওপর তার নিয়ন্ত্রণটা বিশেষই মনে হয়েছিল। নাসের হুসেইন সেই সময় তাকে নিয়ে অনেক উঁচু ধারণা পোষণ করত। আমি নিশ্চিত আজ সে বলবে, আমি তো আগেই বলেছিলাম। ৭০০ টেস্ট উইকেট চোখধাঁধানো এক অর্জন। একজন ফাস্ট বোলার ২২ বছর ধরে খেলছে এবং ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে ৭০০ উইকেট নিতে পেরেছে! অ্যান্ডারসন করে দেখানোর আগে আমার কাছে এটাকে কল্পকথাই মনে হতো। এককথায় অসাধারণ!

৪১ বছর বয়সী অ্যান্ডারসন এখনো টেস্ট ক্রিকেটটা উপভোগ করছেন। ইংল্যান্ডের টিম ম্যানেজম্যান্টও তাকে সর্বোচ্চ যত্ন নিচ্ছে। আর দু-তিন বছর টেস্ট খেলে যেতে পারলে একটা রেকর্ড থেকে হয়তো শচীন টেন্ডুলকারকেও মুছে দিতে পারবেন অ্যান্ডারসন। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি টেস্ট (২০০) খেলা ক্রিকেটার হলেন টেন্ডুলকার। দুই দশকের ক্যারিয়ারে অ্যান্ডারসন খেলেছেন ১৮৭ টেস্ট। আর তো মাত্র ১৩ টেস্টই বাকি!

মন্তব্য করুন: