ডাক্তার পা কেটে ফেলার কথা বলেছিল : রিশাভ পান্ত
১৩ মার্চ ২০২৪
ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা থেকে সেরে উঠে আবারও মাঠে ফেরার অপেক্ষায় রিশাভ পান্ত। ভারতের এই তরুণ উইকেটকিপার ব্যাটারকে গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিট ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। আসন্ন আইপিএল দিয়ে তিনি মাঠে ফিরতে যাচ্ছেন। এদিন দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন পান্ত।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিল্লি-দেরাদুন মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন পান্ত। তার দেহে অস্ত্রোপচার করা হয়। দীর্ঘ ১৪ মাস চোটের সঙ্গে লড়াই করে তিনি এখন ফিট। তবে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলতে না পারাটা তাকে কষ্ট দেয়, “এটা অনেক হতাশার ছিল। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বিশ্বকাপকে ফেরার লক্ষ্য বানিয়েছিলাম। সবাই ২০০ শতাংশ দিয়েছি। তবে আমার হাঁটু চাপ নিতে পারেনি। ওই সময়টা থেকেই আমি নিজেকে আরও চাপ দিতে শুরু করি। যখন আপনি ছোট লক্ষ্য ঠিক করবেন, সেটা আরও উদ্যমী করতে সাহায্য করবে। এটা ভালো টেস্ট ইনিংস খেলার প্রক্রিয়ার মতো।”
সেই দুর্ঘটনার স্মৃতিচারণ করে এই তরুণ ব্যাটার বলেন, “আমি চাইলেও সেই ঘটনা ভুলতে পারব না। আমি ওই ঘটনা সম্পর্কে খুব বেশি ভাবতে চাই না, আক্ষেপ করতে চাই না, যেন এটা আমাকে হতাশ না করে। খুব হালকাভাবে নেওয়ার চেষ্টা করছি। আমি কী করতে পারব, নিজের কতটা উন্নতি করতে পারব, সেদিকে মনোযোগ দিয়েছি। ইংল্যান্ড সিরিজের আগে ফিট হওয়ার চেষ্টা করছিলাম। বিসিসিআই দীর্ঘ সংস্করণে খেলানোর জন্য তাড়াহুড়ো করেনি। তারা ধীরে ধীরে ওয়ার্কলোড বাড়িয়েছে। কেউ যদি আপনার পাশে এভাবে থাকে, আপনার প্রশংসা করতেই হবে। তাদের পরামর্শ ছিল, আমি আগে টি-টোয়েন্টিতে ফিরি, এরপর যেন ওয়ার্কলোড বাড়াই।”
পান্তকে এক বছরের বেশি সময় থাকতে হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে। কঠিন সেই সময় নিয়ে তিনি বলেছেন, “বেশির ভাগ সময়েই আমি ভিভিএস লক্ষ্মণের সঙ্গে জীবন নিয়ে কথা বলেছি। খুবই হতাশ ছিলাম। কেউ আমার সঙ্গে কথা বলতে এলেও হতাশ লাগত। অন্যের কোনো দোষ না থাকার পরও অনেক সময় সেটা প্রকাশও করে ফেলতাম। যখন আমার দুর্ঘটনা ঘটে, আমার মনে হয়েছে ঐশ্বরিক কিছু আমাকে বাঁচিয়েছে। আমি শুধু হাঁটুতে চোট পেয়েছি, যে দুর্ঘটনা ঘটেছে কল্পনাও করতে পারি না, এর চেয়ে কতটা খারাপ হতে পারত। এমনকি ডাক্তার পা কাটার কথাও বলেছিল! ২৩ মার্চ কী হয় দেখি (দিল্লির প্রথম ম্যাচ)। আমি জানি না কেমন করব। জানি না আমার অনুভূতি কী হবে। উপভোগ করার চেষ্টা করছি, চাপ নিতে চাই না। তবে ভালো-মন্দ দুটো সম্ভাবনা নিয়েই আমি ভাবি।”
মন্তব্য করুন: