লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার ২৩৫

১৮ মার্চ ২০২৪

লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার ২৩৫

সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হওয়ায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার তৃতীয় ওয়ানডে রূপ নিয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। দিনের আলোয় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। একপর্যায়ে সফরকারীদের স্কোর দুইশর ঘরে যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু ধ্বংস্তুপে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়েন জানিত লিয়ানাগে। তার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২৩৫ রান তুলে অল-আউট হয় শ্রীলঙ্কা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার টস জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। শুরু থেকেই টাইগার পেসারদের আক্রমণে তাদের নাভিশ্বাস ওঠে। দ্বিতীয় ওভারেই পাথুম নিশাঙ্কাকে (১) এলবিডাব্লিউ করে দেন তাসকিন। ফিরতি ওভারে এসেই মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করেন আরেক ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দোকে (৪)। সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমানও জ্বলে ওঠেন। নিজের করা প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই তুলে নেন সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (১৪)। উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মুশফিক। ১০.২ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

ম্যাচের ১৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে (২৯) মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করেন রিশাদ হোসেন। ২৫তম ওভারে আবারও মুস্তাফিজের আঘাত। শেষ বলে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন চারিথ আসালাঙ্কা (৩৭)। এরই সঙ্গে ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর মঞ্চে আবির্ভাব মেহেদি হাসান মিরাজের। এই ডানহাতি স্পিনার তুলে নেন দুনিত ভেল্লালাগে (১) আর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার (১১) উইকেট। এসময় অষ্টম উইকেটে জুটি গড়েন জানিত লিয়ানাগে এবং মহীশ তিকশানা।

৪৭ ওভার শেষে পায়ে ক্র্যাম্প করায় মাঠের বাইরে চলে যান মুস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারের প্রথম বলেই তিকশানাকে (১৫) ফিরিয়ে ৬০ রানের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। শেষ ওভারে লিয়ানাগে ১০১ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১ চার ২ ছক্কায় ১০১ রানে। ৫০ ওভারে শ্রীলঙ্কা অল-আউট হয় ২৩৫ রানে। ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ২টি করে নিয়েছেন মুস্তাফিজ এবং মিরাজ।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে এসেছে তিনটি পরিবর্তন। বাদ পড়া লিটন দাসের জায়গায় সৌম্য সরকারের ওপেনিং সঙ্গী হচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। চোটে আক্রান্ত পেসার তানজিম সাকিবের জায়গায় সিরিজে প্রথমবারের মতো একাদশে এসেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের বদলে সুযোগ হয়েছে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার চোটাক্রান্ত পেসার দিলশান মাদুশঙ্কার জায়গায় এসেছেন স্পিনার মহীশ থিকশানা।

বাংলাদেশ একাদশ : নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), এনামুল হক, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও রিশাদ হোসেন।

শ্রীলঙ্কা একাদশ : আভিস্কা ফার্নান্দো, পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিত আসালাঙ্কা (সহ-অধিনায়ক), জানিত লিয়ানাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিত ভেল্লালাগে, মহীশ তিকশানা, প্রমোদ মাদুশান ও লাহিরু কুমারা।

মন্তব্য করুন: