‘তোমার জোনে পেলে মারো, কোনো সমস্যা নাই’
১৮ মার্চ ২০২৪
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলতি সিরিজে একজন লেগ-স্পিনার হিসেবে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। কিন্তু তার লেগ-স্পিনের চেয়ে সফরকারীদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ২১ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের ব্যাটিং। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে রিশাদের বিধ্বংসী ইনিংসে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আর ম্যাচ শেষে ডানহাতি এই ব্যাটার জানিয়েছেন, মুশফিকুর রহিমের সমর্থনের কথাও।
সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে তাইজুল ইসলামের বদলি হিসেবে একাদশে আসেন রিশাদ। সিরিজে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম বলেই তুলে নেন দারুণ ছন্দে থাকা লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের উইকেট। এরপর বল হাতে তেমন সাফল্য না পেলেও ম্যাচে নিজের বাকি ঝলকটুকু হয়তো তুলে রাখেন ব্যাটিংয়ের জন্যই।
দলীয় ১৭৮ রানে বাংলাদেশ যখন মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট হারায়, তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৮ রানের। হাতে ৪ উইকেট থাকায় সে সময় কিছুটা চাপেই ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে নিজের প্রথম বলেই ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের আগমনের বার্তা দেন রিশাদ। পরের বলে কোনো রান না নিলেও ওভারের শেষ দুই বলে একটি চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ডানহাতি এই ব্যাটার দলের চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেন। আর অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে রিশাদের শুরুর দিকের তাণ্ডব ভালোই উপভোগ করছিলেন মুশফিক।
এরপর হাসারাঙ্গার করা ৪০তম ওভারে ম্যাচের মোড় একাই ঘুড়িয়ে দেন রিশাদ। ওভারের প্রথম দুই বলে ২টি ছক্কা হাঁকানোর পর পরের তিন বলে হাঁকান ৩টি চার। সুযোগ ছিল বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটি হাঁকানোরও। কিন্তু শেষ বলটি ডিফেন্ড করায় তা আর হয়নি।
এদিন হাসারাঙ্গার জন্য এক দুঃস্বপ্ন হয়েই আসেন রিশাদ। ডানহাতি এই লেগ স্পিনারের খেলা ১১ বলে ৪টি করে ছক্কা ও চারে ৪০ রান নেন রিশাদ। সপ্তম উইকেট জুটিতে মুশফিককে নিয়ে ২৫ বলে যোগ করেন ৫৯ রান। আর দলের জয় নিয়ে ১৮ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ম্যাচসেরা রিশাদ।
ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এরকম ব্যাটিংয়ে মুশফিকের সমর্থনের কথা জানিয়ে রিশাদ বলেন, “প্রথমেই আলহামদুলিল্লাহ। অনেক ভালো লাগতেছে যে নিজেই ম্যাচ জিতিয়ে আসতে পেরেছি। প্রথম অবস্থায় একটু ইয়ে (নার্ভাস) লাগছিল। পরবর্তীতে যখন ব্যাটে লাগা শুরু করে তখন আলহামদুলিল্লাহ (সব ঠিক হয়ে গেছে)। মুশফিক ভাই বলতেছিল, তোমার জোনে পেলে মেরে দাও, কোনো সমস্যা নাই।”
মন্তব্য করুন: