নারী অধিকার খর্ব করায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ স্থগিত অস্ট্রেলিয়ার
১৯ মার্চ ২০২৪
তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তানে নারীদের মানবাধিকার ক্রমেই খারাপ হওয়ার কারণ দেখিয়ে দেশটির বিপক্ষে আবারও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ স্থগিত করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আইসিসির এফটিপির অধীনে আগামী অগাস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে তিনটি টি-টুয়েন্টি খেলার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেই সিরিজ আপাতত হচ্ছে না। এর আগে তারা একই ইস্যুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ স্থগিত করেছিল।
মঙ্গলবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে গত ১২ মাস ধরে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। সরকারের পরামর্শ হলো, আফগানিস্তানে মেয়ে শিশু ও নারীদের অবস্থা ক্রমে আরও খারাপ হচ্ছে। এই কারণে আমরা আমাদের আগের অবস্থানেই অটল থাকছি এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ স্থগিত করে দিচ্ছি।”
“বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জোরালভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ শুরু করার জন্য কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া যায়, এটা নিয়ে আইসিসিকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার ধারা চালিয়ে যাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবে।”
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্থগিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে গত বছরের মার্চে একই কারণে তারা আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও তারা স্থগিত করে দেয়। এরপরই আফগান তারকা রশিদ খান হুমকি দিয়েছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে না খেলার। তবে তিনি সেই অবস্থান থেকে সরে এসে বিগ ব্যাশে যোগ দেন। যদিও চোটের কারণে এই আসরে তার খেলা হয়নি।
আফগানিস্তানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তালেবানরা ক্ষমতায় এসে মেয়েদের ক্রিকেট বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি মেয়েদের পড়াশোনাও বন্ধ করে দেয় তারা। নারী নির্যাতন সেখানে নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। শুরু থেকেই দেশটিতে মেয়েদের অধিকার প্রসঙ্গে সরব অস্ট্রেলিয়া। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ না খেললেও গত দুই বছরে টি-টুয়েন্টি আর ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। দুটি ম্যাচই হয়েছিল জমজমাট। সর্বশেষ লড়াইয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল সেই বিধ্বংসী ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
মন্তব্য করুন: