বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ
টেস্ট সিরিজ জিতলে টাইমড আউট উদযাপনের পরের পর্ব দেখাবে শ্রীলঙ্কা
২১ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার চলমান সিরিজে বাড়তি উত্তেজনা যোগ করেছে ‘টাইমড আউট’ উদযাপন। টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর দুই দলই করেছে পাল্টাপাল্টি উদযাপন। তাই সিলেটে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজে এই দ্বৈরথে বাড়তি কী যোগ হচ্ছে তা জানার আগ্রহের কমতি নেই দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে। তবে এই বিষয়ে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেছে সফরকারীদের টেস্ট দলের অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যায় গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ‘টাইমড আউট’ করার মধ্য দিয়ে। সেই ঘটনার ক্ষত লঙ্কানরা যে এখনও ভোলেনি তার প্রমাণ পাওয়া যায় টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর তাদের টাইমড আউট উদযাপনে। তাদের সেই উদযাপনের জবাবে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর ম্যাথিউসের হেলমেটের ছেঁড়া স্ট্র্যাপ নিয়ে ব্যঙ্গ করে উদযাপন করে মুশফিকুর রহিমরা।
বৃহস্পতিবার টেস্ট সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে ডি সিলভার কাছে এই উদযাপনের পরের পর্বে কী থাকছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে হাসতে হাসতেই লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, “যদি আমরা জিতি, তারপর আপনি দেখতে পাবেন।”
টেস্ট সিরিজে শুরুর আগে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ওপর আইসিসির নিষেধাজ্ঞার বাধা কাটাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য অবসর ভেঙে তাকে আবারও সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফেরানোর কৌশল নিয়েও সিরিজ শুরুর আগে আলোচনা হচ্ছে। তবে বিষয়টি যে ঠিক নয় তা নিয়ে এক বিবৃতি দেয় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ড।
ডি সিলভার সংবাদ সম্মেলনেও উঠে আসে বিষয়টি। তবে এই প্রসঙ্গে কথা উঠতেই লঙ্কান অধিনায়কের বদলে উত্তর দেন দলটির ম্যানেজার মাহিন্দা হালানগোদা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য বেশ আগেই লঙ্কান বোর্ডকে হাসারাঙ্গা চিঠি দেয় বলে তিনি দাবি করেন।
“আসলে তথ্যটা ভুল। হাসারাঙ্গা আমাদের চিঠি দিয়েছিল যে সে তার সিদ্ধান্ত বদলেছে, সে টেস্ট খেলতে চায়। চিঠিটা ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আছে। নির্বাচকেরা পরে চিন্তা করেছে তাকে টেস্ট সিরিজে দলে নেবে। এটা ওই ঘটনার (নিষেধাজ্ঞার) সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়।”
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে শেষ ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে শাস্তি পান হাসারাঙ্গা। ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে তার নামের পাশে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয়। এর আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজে আম্পায়ারের সমালোচনা করে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে তিনি মাঠে ফেরেন।
দুই বছরের মধ্যে ৮টি ডিমেরিট পেলে একজন খেলোয়াড় ২টি টেস্ট বা ৪টি ওয়ানডে বা ৪টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। হাসারাঙ্গার সেই কোটা পূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ২ টেস্টের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
মন্তব্য করুন: