বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ
দুর্ধর্ষ পেস আক্রমণে বাংলাদেশের স্বপ্নের সেশন
২২ মার্চ ২০২৪
টসভাগ্য যখন পক্ষে এলো, ফিল্ডিং বেছে নিতে দেরি করেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। মেঘলা কন্ডিশন আর উইকেটের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বল হাতে ঝলসে উঠলেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রথম দিনের প্রথম সেশনে খালেদ আহমেদ একাই তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৫ উইকেটে ৭১ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। অন্য উইকেটটি নিয়েছেন আরেক পেসার শরীফুল ইসলাম।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। খালেদ আহমেদের বলে স্লিপে নিশান মাদুশকার (২) দারুণ ক্যাচ নেন মেহেদি মিরাজ। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাফল্যও আসে খালেদের হাত ধরে। কুশল মেন্ডিসের (১৬) ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল গালি অঞ্চলে তালুবন্দি করেন জাকির হাসান। একই ওভারের শেষ বলে ওপেনার দিমুথ করুনারত্নেকে (১৭) বোল্ড করে দেন খালেদ।
খালেদের ফিরতি ওভারে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জোলে ম্যাথিউস (৫) রান-আউট হয়ে যান। এরপর মঞ্চে আসেন শরীফুল ইসলাম। তার বলে স্লিপে দিনেশ চান্ডিমালের (৯) দেওয়া কঠিন ক্যাচ নেন মিরাজ। তৃতীয় আম্পায়ারের সহায়তায় চান্ডিমালকে আউট ঘোষণা করা হয়। ৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পরের বলে আবারও উইকেট পেতে পারতেন শরীফুল। তবে স্লিপে কমিন্দু মেন্ডিসের সহজ ক্যাচ ফেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়েন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের ১০৩তম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেক হয়েছে ২১ বছর বয়সী পেসার নাহিদ রানার। সঙ্গে দলে আছেন শরীফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। স্পিন আক্রমণে আছেন তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলেরই এটি দ্বিতীয় সিরিজ। প্রথম দুই ম্যাচে একটি করে জয়-পরাজয়ে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার নম্বরে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ হেরে সবার নিচে শ্রীলঙ্কা। দুই দলের ২৪ টেস্টে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি, ড্র পাঁচটি।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, নাহিদ রানা।
লঙ্কা দল: দিমুথ করুনারত্নে, নিশান ফার্নান্ডো, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, দিনেশ চান্ডিমাল, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, কামিন্দু মেন্ডিস, প্রভাত জয়সুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্ডো, কাসুন রাজিতা, লাহিরু কুমারা।
মন্তব্য করুন: