বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ
জোড়া সেঞ্চুরির পর অল্পেই থামল শ্রীলঙ্কা
২২ মার্চ ২০২৪
শুরুতে আর শেষে বাংলাদেশের পেস আক্রমণের সামনে নত হলো শ্রীলঙ্কা। কিন্তু সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসের মাঝের সময়টায় দুই সেঞ্চুরিতে প্রতিরোধ গড়েন মিডল অর্ডার ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম ৬৮ ওভার ব্যাট করে সফরকারীদের সংগ্রহ ২৮০ রান। ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ আর অভিষিক্ত নাহিদ রানা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। খালেদ আহমেদের বলে স্লিপে নিশান মাদুশকার (২) দারুণ ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাফল্যও আসে খালেদের হাত ধরে। কুশল মেন্ডিসের (১৬) ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল গালি অঞ্চলে তালুবন্দি করেন জাকির হাসান। একই ওভারের শেষ বলে ওপেনার দিমুথ করুনারত্নেকে (১৭) বোল্ড করে দেন খালেদ।
খালেদের ফিরতি ওভারে অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জোলে ম্যাথিউস (৫) রান-আউট হয়ে যান। এরপর মঞ্চে আসেন শরীফুল ইসলাম। তার বলে স্লিপে দিনেশ চান্ডিমালের (৯) দেওয়া কঠিন ক্যাচ নেন মিরাজ। তৃতীয় আম্পায়ারের সহায়তায় চান্ডিমালকে আউট ঘোষণা করা হয়। ৫৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পরের বলে আবারও উইকেট পেতে পারতেন শরীফুল। তবে স্লিপে কমিন্দু মেন্ডিসের সহজ ক্যাচ ফেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। সেই ক্যাচ ফেলেই যেন বিপদ ডেকে আনেন এই তরুণ। ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন লঙ্কান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস। ৫ উইকেটে ৭৭ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
বিরতির পর ধনাঞ্জয়া এবং মেন্ডিস দুজনেই ফিফটি পূরণ করেন। জুটি পৌঁছে যায় তিন অংকে। এই দুজনের ব্যাটে দ্বিতীয় সেশনেও হতাশ হতে হয় বাংলাদেশকে। চা বিরতির পর ১২৬ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন কামিন্দু মেন্ডিস। অবশ্য ১০২ রানেই তাকে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট শিকার করেন রানা। ভাঙে ২০২ রানের জুটি। এরপর পরই ক্যারিয়ারের একাদশ টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়ে যান অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া। তাকেও ১০২ রানেই মিরাজের দারুণ ক্যাচে পরিণত করেন রানা। এই পেসারের তৃতীয় শিকার প্রভাত জয়াসুরিয়া (১)। এরপরই দ্রুত শেষ হয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। একটি করে উইকেট নেন তাইজুল আর শরীফুল।
মন্তব্য করুন: