আইপিএলে স্টার্কের একটি বলের মূল্য ৬ লাখ রুপি 

২২ মার্চ ২০২৪

আইপিএলে স্টার্কের একটি বলের মূল্য ৬ লাখ রুপি 

দীর্ঘ নয় বছরের বিরতি দিয়ে এবারের মৌসুম দিয়ে আইপিএলে ফিরছেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এই তারকা পেসারের বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগে প্রত্যাবর্তনটা হয়েছে ইতিহাস গড়েই। আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হিসেবে তাকে দলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর এতেই এই মৌসুমে স্টার্কের করা একটি বলের মূল্য কমপক্ষে লাখ রুপি হতে চলেছে।  

গত ডিসেম্বরে আইপিএলের নিলামে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে স্টার্ককে দলে নেয় কলকাতা। সে হিসেবে চলতি মৌসুমে কলকাতার হয়ে প্লে-অফ আর ফাইনালের ম্যাচসহ লিগপর্বের ১৪ ম্যাচে মাঠে নেমে পূর্ণ ওভার বোলিং করলে বাঁহাতি এই পেসারের একটি লিগ্যাল ডেলিভারির দাম হবে লাখ রুপি। তবে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট এবং ইনজুরি বিবেচনা করলে এই ১৭ ম্যাচেই স্টার্ককে মাঠে নামানোর মতো ঝুঁকি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নেবে কি না তা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বেশ দূরেই আছেন স্টার্ক। ঘরের মাঠে এই ফরম্যাটের ২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকে খেলেছেন কেবল দুটি ম্যাচ। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে বোলারদের একজন ছিলেন। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে সবশেষ ২০১৫ সালের আইপিএলে টি-টুয়েন্টি খেলেন স্টার্ক।

রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সেই আসরে খেলার পর থেকে টি-টুয়েন্টিতে ওভার প্রতি দশমিক ১৪ করে রান দিয়ে আসছেন স্টার্ক। যেখানে এই ফরম্যাটে তার ক্যারিয়ার ইকোনমি দশমিক ৪৭। এই সময়ের মধ্যে বাঁহাতি এই পেসার উইকেট নিতেও বেশি বল খরচ করেছেন। পুরো ক্যারিয়ারে গড় ১৯ দশমিক ৭৪ হলেও ২০১৫ আইপিএলের পর থেকে তা ২৫ দশমিক ৫৩।

তবে কলকাতার জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ হতে পারে ডেথ ওভারে স্টার্কের বোলিংয়ে ধার না থাকা নিয়ে। ২০১৫ সালের পর থেকে ১৬ থেকে ২০ ওভারের মধ্যে তিনি ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন দশমিক ৬২ করে। এই কারণে গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে বাঁহাতি এই পেসার একাদশ থেকে জায়গাও হারান।

শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে আইপিএলে নিজের ২৮তম ম্যাচ খেলতে নামার অপেক্ষায় আছেন স্টার্ক। প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে তারই জাতীয় দল সতীর্থ এবং এবারের আসরের দ্বিতীয় দামী খেলোয়াড় প্যাট কামিন্সের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

মন্তব্য করুন: