অদ্ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ের পেছনে প্রস্তুতির ঘাটতিকে দুষছেন মিরাজ
২৪ মার্চ ২০২৪
শ্রীলঙ্কার ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৪৭ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। স্কোরকার্ড দেখে মনে হতে পারে সিলেটের পিচ ব্যাটারদের জন্য বদ্ধভূমিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই পিচেই দিনের পুরোটা সময় বেশ সাবলীল ভঙ্গিতে ব্যাট করেছে লঙ্কানরা। ব্যাটারদের উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার মিছিলে এখন হারের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে স্বাগতিকরা। আর এরকম অদ্ভুতুরে ব্যাটিংয়ের জন্য টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকাকে কারণ হিসেবে দেখাচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় দিন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া শতকে ৫১০ রানের বড় ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিশ্ব ফার্নান্দোর ইনিংসের প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিউর শিকার হন মাহমুদুল হাসান জয়। কাসুন রাজিতার দ্বিতীয় ওভারে অফ-স্টাম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। উইকেটের পেছনে খোঁচা মেরে ফেরেন শাহাদাত হোসেন দিপুও।
তবে সবাইকে ছাড়িয়ে যান লিটন দাস। দিপু আউট হওয়ার পরের বলে ব্যাট হাতে নেমেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা হাঁকাতে যান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। কিন্তু বল বাউন্ডারি তো দূর, ৩০ গজের সীমাও পার করতে পারেনি। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ দেখেন তিনি। ম্যাচের পরিস্থিতি বিচারে তার এমন শট দেখে অনেকেই হতভম্ব হয়ে যান।
দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, “আমরা টেস্টের জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারেনি। তাদের বিপক্ষে আমরা টি-টুয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলেছি। তার দুই দিন (তিন দিন) পরেই আমাদের টেস্ট খেলতে হচ্ছে। এটা একটা কারণ হতে পারে।”
ব্যাটারদের এসব অদ্ভুতুরে শটের কারণ জানতে যাওয়া হলে সেটিরও স্পষ্ট কোন ধারণা দিতে পারেননি তিনি।
“এটার ব্যাখ্যা যে খেলোয়াড় খেলে ব্যক্তিগতভাবে সেই আসলে বলতে পারবে তার পরিস্থিতি কি চলছে। ওই মুহূর্তে কি চিন্তা করছে। শেষের দিকে অবশ্যই এটা কঠিন। আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। যেহেতু আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। ব্যক্তিগতভাবে আমাদের যে আউটগুলো হয়েছে অবশ্যই হতাশাজনক। তারপরও আমরা চেষ্টা করব। মুমিনুল ভাই আছে, আমি আছি আমরা যদি একটু রান করতে পারি আমাদের জন্য ভালো হবে।”
দলের কেউই ভালো করছে না জানিয়ে এই অল-রাউন্ডার আরও বলেন, “একটা জিনিস দেখেন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের তো মেনে নিতে হয়। খারাপ সময়টা ভালো সময়টা আমরা ফেস করতে থাকি। অবশ্যই খারাপ লাগার বিষয়। যেহেতু আমরা সবাই একসাথেই খারাপ করছি। কেউই ভালো করছে না তেমন, এক-দুই জন ছাড়া। টেস্ট ক্রিকেটে সবার ভালো খেলতে হবে, না হলে কঠিন। বিশেষ করে ব্যাটারদের জন্য। বোলাররা তো ভালো এফোর্ট দিয়েছে আমরা দেখেছি।”
মন্তব্য করুন: