শান্ত-লিটনদের ব্যর্থতা : গোড়াতেই গলদ দেখছেন নাজমুল আবেদীন

২৫ মার্চ ২০২৪

শান্ত-লিটনদের ব্যর্থতা : গোড়াতেই গলদ দেখছেন নাজমুল আবেদীন

ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট শুধু স্কিলকে মার্জিত করে তাই নয়, ‘ক্রিকেটীয় চরিত্র’ গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ‘Cricket creates character’, কথাটার উৎপত্তি এখান থেকেই। এই ফরম্যাটে কারোরই কোনো ধরনের এক্সকিউজ দেয়ার সূযোগ নেই। সবকিছুই একেবারে ব্ল্যাক এ্যন্ড হোয়াইট। সিচুয়েশন বোঝ এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে মানিয়ে নাও। সেই অর্থে স্কোর বোর্ড প্রেশার বলেও কিছু নেই।

স্কিল যতই থাকুক না কেন, চাপ নেয়ার ক্ষমতা না থাকলে তুমি এই খেলার যোগ্য নও। কোথাও না কোথাও এই অপূর্ণতা ধরা পড়ে যাবেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান এই টেস্টের দুই ইনিংসেই তাইজুল প্রমাণ করে দিয়ে গেল যে, চাইলে এখানেও টিকে থাকা য়ায়। এবং টিকে গেলে একসময় পুরো ব্যাপারটা সহজও হয়ে যায়। যদি তা না হতো, তাহলে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট হারানোর পর সেই জায়গা থেকে শ্রীলঙ্কা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারত না। 

লংগার ফরম্যাট মানেই হলো- হার না মানার প্রত্যয় নিয়ে স্রোতের বিপরীতে দাঁতে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকা। শুধু স্কিল দিয়ে হয় না, আত্মসম্মানবোধের পরীক্ষা হয় এখানে। কমফোর্ট জোন বলে এখানে কিছু নেই। এখানে টিকে থাকতে হয় সব প্রতিকুলতাকে হার মানিয়ে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে যারা এই কাজগুলো ধারাবাহিকভাবে বছরের পর বছর করে থাকে, তাদেরই এক সময় টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে বিবেচিত হওয়ার সৌভাগ্য হয়।

আমাদের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট এর কিছুই দেয় না। বরং যে সততা নিয়ে, যে স্বপ্ন নিয়ে একজন মেধাবী তরুণ এখানে আসে, সেটিও হারিয়ে যায় পরিবেশগত কারণে। একসময় সেও নিজেকে মানিয়ে নেয় এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সাথে। তার কাছে এটি হয়ে উঠে কেবলমাত্র রুটি-রুজির পথ। এখানে প্রগ্রেস বলে কিছু নেই, প্রগ্রেস রিপোর্ট বলেও কিছু নেই। সব পক্ষ খুশি। অর্থাৎ সব ভালোই চলছে।

- খ্যাতিমান কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের ফেসবুক ওয়াল থেকে

মন্তব্য করুন: