আমার আউট মিস জাজমেন্ট, লিটনেরটা বলতে পারব না : শান্ত
২৫ মার্চ ২০২৪
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় চলে এসেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের অ্যাপ্রোচ। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যেভাবে তারা উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন, তা সমালোচনার দাবি রাখে। বিশেষ করে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন দাসের আউট খুবই দৃষ্টিকটু ছিল। সোমবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও উঠল এই প্রশ্ন।
৫১১ রানর অসম্ভব টার্গেট তাড়ায় নেমে গতকাল তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলেই ৩৭ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে অফ স্টাম্পের অনেক অনেক বাইরের বল তাড়া করে স্লিপে ক্যাচ দেন শান্ত। এরপর দ্রুত ফিরে যান জাকির হাসান আর শাহাদাত হোসেন দিপু। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে ছক্কা মারতে যান লিটন। সহজ ক্যাচ নিয়ে হতবাক হয়ে যান শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররাও।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা অধিনায়ক শান্তকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আসলে লিটনের আউটটা নিয়ে আমি বলতে পারব না। লিটন নিজেই ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবে। তবে ক্রিকেটে এ ধরনের আউট সাধারণত দেখা যায় না। আমার আউটটা নিয়ে যেটা বলব যে, বল সিলেকশনে ভুল করেছিলাম। যে ধরনের উইকেট ছিল, তাতে নতুন বলে এ ধরনের বল ছেড়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। আমার মনে হয় মিস জাজমেন্ট। এখান থেকে আগামী ম্যাচে আমরা কীভাবে বের হয়ে আসতে পারি সেটাই বিষয়। আশা করি, লিটনসহ সবাই যারা ভুল ব্যাটিং করেছি তারা সবাই ব্যাটিং নিয়ে কাজ করব এবং ভালোভাবে কামব্যাক করব।”
শান্তর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ওই বাজে শট নিয়ে অধিনায়ক হিসেবে লিটনকে কোনো প্রশ্ন করেছিলেন কিনা? শান্তর জবাব, “না, নির্দিষ্ট শট নিয়ে কথা বলার জন্য ব্যাটিং কোচ আছেন। কেন খেলেছেন, কী কারণে খেলেছেন এসব নিয়ে ব্যাটিং কোচ তার সঙ্গে কাজ করবেন। এটা আমার কাজ না। এই আউটটা নিয়ে একটু আগেও বললাম। এটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলার আছে বলেও মনে করি না। এটা যদি কট বিহাইন্ড না হতো তাহলে এত কথাও হতো না। আউট তো আউটই। ব্যাটিং কোচ বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয় সেটা দেখবেন।”
টাইগার অধিনায়কের আশা, লিটন দ্রুতই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে পারবেন, “লিটন যখন শেষ ওয়ানডেটা খেলেনি, তখনও কিন্তু তাকে আমরা প্লেয়ার হিসেবেই চিন্তা করেছি। সে আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। আমাদের দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এখনও পর্যন্ত। হ্যাঁ, কয়েকটা ইনিংস খারাপ গেছে। এই সময় আমাদের উচিৎ তার পাশে থাকা। আমার মনে হয়, কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে ক্রিকেটাররা সবাই সাপোর্ট করছে। তাই লিটনও এটা নিয়ে বিশেষ চিন্তা করছে না। আমি আশাবাদী আগামী ম্যাচে লিটন ভালোভাবে কামব্যাক করবে।”
যে উইকেটে বাংলাদেশি ব্যাটাররা দুই ইনিংসে একবারও দুইশ ছুঁতে পারেনি, সেখানে লঙ্কানরা রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন। শুরুতে দ্রুত উইকেট হারালেও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আর কামিন্দু মেন্ডিস দুই ইনিংসেই করেছেন সেঞ্চুরি। এতে বাংলাদেশি ফিল্ডারদের অবদান কম নয়। ক্যাচ ছাড়া, ভুল রিভিউ বা রিভিউ না নেওয়া- সবই দেখা গেছে। তাই শান্তর কাছে প্রশ্ন গেল, প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েই বাংলাদেশ রিল্যাক্স হয়ে গিয়েছিল কিনা?
জবাবে বেশ আপত্তিই জানালেন অধিনায়ক, “টেস্ট ম্যাচে রিল্যাক্স হওয়ার সুযোগ নেই। কেউ রিল্যাক্স ছিল না। সবাই তাদের সর্বোচ্চটা দিয়েই চেষ্টা করেছে। অবশ্যই ওদের দুজন ব্যাটারকেই ক্রেডিট দিতে হবে। তারা ভালো ব্যাটিং করেছে।”
মন্তব্য করুন: