ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় লিটন-শান্তদের ভরাডুবি : হাবিবুল বাশার
২৬ মার্চ ২০২৪
সিলেট টেস্টে বিশাল ব্যবধানে হার ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মানসিকতা আর অ্যাপ্রোচ। বিশেষ করে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর লিটন কুমার দাস যেভাবে বাজে শট খেলে আউট হয়েছেন, সেটা মানতে পারছে না কেউই। যে উইকেটে লঙ্কানরা চারটি সেঞ্চুরি করেছে, সেই উইকেট যেন পড়তেই পারছিলেন না শান্ত-লিটনরা। সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার মনে করেন, ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলাতেই তাদের এই করুণ হাল।
সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে ২৮৮ রানে অল-আউট করে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শিকার হয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে তারা তোলে মাত্র ১৮৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৪১৮ রান করলে জয়ের জন্য ৫১১ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। রান তাড়ায় নেমে মাত্র ১৮২ রানে গুটিয়ে হারতে হয়েছে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন তাইজুল ইসলাম, শেষ ইনিংসে অপরাজিত ৮৭ করেন মুমিনুল। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা আর তরুণ অল-রাউন্ডার কামিন্দু মেন্ডিস দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকান।
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের প্রদর্শনী ম্যাচের পর সিলেট টেস্ট নিয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, “জাতীয় দলে যারা নিয়মিত খেলেন, তারা খুব একটা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সুযোগ পান না। তারা যদি এই ধরনের উইকেটে বেশি বেশি খেলেন, তাহলে কিন্তু ভালো করতে পারত। মুমিনুল ভালো করেছে, কারণ তার ঘরোয়া ক্রিকেটটা খেলার সুযোগ বেশি হয়। এই উইকেটে ব্যাটিং করে কিন্তু মুমিনুল হক অভ্যস্ত, কিন্তু বাকি যারা আছেন, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক ব্যস্ত থাকায় এই ধরনের উইকেটে ব্যাটিং করতে অভ্যস্ত নন।”
বিশাল রান তাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা যেভাবে আউট হয়েছেন, সেটা দেখেও তাদের স্কিলের ঘাটতি আছে বলে মনে করছেন না হাবিবুল। এর থেকে উত্তরণের পথ বাতলে দিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক, “আমার মনে হয় না স্কিল লেভেলে তারা খুব একটা পিছিয়ে আছে, এই ম্যাচে যে ধরনের উইকেটে খেলা হয়েছে, সেখানে তারা খুব বেশি একটা খেলে না। গত ২-৩ বছর ধরে কিন্তু এই ধরনের উইকেটেই খেলা হচ্ছে। অনেক ফাস্ট বোলার এই কারণেই উঠে আসছে। আমার মনে হয় জাতীয় দলে যারা আছেন, তাদের সুযোগ পেলে ঘরোয়াতে খেলা উচিত।”
মন্তব্য করুন: