পেইন-কিলার নিয়ে পরাগের ব্যাটে চার-ছক্কার ফুলঝুরি

গত মৌসুমে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলটা একদমই ভালো যায়নি ভারতের তরুণ ব্যাটার রিয়ান পরাগের। সে সময় তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনাও হয়েছিল বেশ। তবে চলতি মৌসুমে যেন ভিন্ন এক পরাগকে দেখছে ক্রিকেট অনুরাগীরা। বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে যেন চার-ছক্কার পসরা নিয়ে বসেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আর সেটি তিনি করেছেন তিন দিন বিছানায় পড়ে থাকার পর পেইন-কিলার নিয়ে মাঠে নেমে।  

চলতি মৌসুমে রাজস্থানের হয়ে দুই ইনিংসে ১৭১ দশমিক ৬২ স্ট্রাইক-রেটে পরাগের রান ১২৭। এর মধ্যে আছে জয়পুরে দিল্লির বিপক্ষে ৪৫ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। অথচ ২০২৩ আইপিএলে ব্যাট হাতে ৭ ইনিংসে পরাগের রান ছিল স্রেফ ৭৮। সেবার তাকে নিলামে ৩ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে দলে নেয় রাজস্থান।

দিল্লির বিপক্ষে ম্যাচে রাজস্থান ইনিংসের শেষ ওভারে বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতির বোলার আনরিখ নরকিয়াকে পিটিয়ে তুলোধুনো করেন পরাগ। দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি এই ফাস্ট বোলারের ওভারে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান নেন ২২ বছর বয়সী এই তরুণ। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডানহাতি এই ব্যাটার জানান, ম্যাচের আগের দিনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন না।

“গত তিন দিন অনেক ধকল গেছে। বিছানায় পড়ে ছিলাম। অসুস্থ ছিলাম। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) উঠে দাঁড়িয়েছি। এরপর ঠিকঠাকমতো সব করতে পেরেছি। তাই নিজের জন্য ভালো লাগছে।”

তবে এরকম ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতিটা পরাগ সেরেছেন ভারতের ঘরোয়া টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে থেকে ৮৫ গড় আর ১৮৩ স্ট্রাইক-রেটে আসরের সর্বোচ্চ ৫১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

ব্যাট হাতে তার এই পাল্টে যাওয়ার পেছনে প্রচুর অনুশীলনের কথা জানিয়ে পরাগ বলেন, “কে বল করছে সেটা নয়, কী বল করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ, আর সেগুলোই বেশি বেশি অনুশীলন করেছি। আজ রাতে (গতকাল) তার কিছু কাজে লাগাতে পেরেছি।”

“উইকেটের দুই প্রান্তেই রান করা নিয়ে শেষ দিকে কাজ করেছি। আমি জানি শর্ট বলে ছক্কা কিংবা ইয়র্কারও মেরে দেওয়ার মতো শক্তি ও ক্ষমতা আমার আছে। তাই সুযোগ পেলেই এটা করি। কখনো বাউন্ডারি মারতে পারি, কখনো আবার পারি না।”

এদিন ভারতের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে ১০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলকও স্পর্শ করেন পরাগ। ২২ বছর ১৩৯ দিন বয়সে পরাগ রেকর্ডটি গড়ার পথে পেছনে ফেলেন রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনের রেকর্ড। ২২ বছর ১৫৭ দিন বয়সে রেকর্ডটি গড়েছিলেন স্যামসন