জয়কে হারিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
৩১ মার্চ ২০২৪
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার গড়া রানের পাহাড়ে উঠতে গিয়ে শুরুটা ভালো করলেও দিনের শেষে হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ বেলায় মাহমুদুল হাসান জয়ের উইকেট হারিয়ে ৫৫ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে স্বাগতিকরা। ৪৭৬ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করা সফরকারীদের ইনিংস থামে ৫৩১ রানে। ছয় ব্যাটারের অর্ধ-শতকে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়াই সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে শ্রীলঙ্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেন জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে দ্রুতগতিতে রান তোলেন এই দুই ওপেনার। গড়েন সবশেষ ১৩ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু দিনের একদম শেষ দিকে লাহিরু কুমারার বলে জয় (২১) বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে ৪৭ রানের এই জুটি ভাঙে। ২৮ রানে জাকির ও নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম অপরাজিত আছেন শূন্য রান।
এর আগে ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়া এবং নির্বিষ বোলিংয়ে কোনো বিপদ ছাড়াই রান তুলতে থাকেন লঙ্কানরা। ছয় ব্যাটারের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে রান পাহাড়ে ওঠে সফরকারীরা।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামের মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়াতেও আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার দিনেশ চান্দিমাল ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে তেমন কোনো চাপে ফেলতে পারেননি স্বাগতিক পেসাররা। উল্টো বোলারদের সামলে নিজেদের অর্ধ-শতক তুলে নেন তারা। তবে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি এনে দেন সাকিব আল হাসান। চান্দিমালকে (৫৯) কট বিহাইন্ড করে পঞ্চম উইকেটে ৮৬ রানের এই জুটি ভাঙেন দেশসেরা অল-রাউন্ডার।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম ওভারেই ধনঞ্জয়াকে ফেরান খালেদ আহমেদ। আগের ম্যাচে জোড়া শতক হাঁকানো লঙ্কান অধিনায়ককে ৭০ রানে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ডানহাতি এই পেসার। একই স্পেলে প্রভাত জয়সুরিয়ারও উইকেট পেতে পারতেন খালেদ। কিন্তু স্লিপে থাকা তিন ফিল্ডারের হাস্যকর মিসে তা আর হয়নি।
এই ক্যাচ মিসের বড় মাশুল দিতে হয় বাংলাদেশকে। জয়সুরিয়াকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলীয় সংগ্রহ সাড়ে চারশ পার করেন কামিন্দু মেন্ডিস। মধ্যাহ্ন বিরতির পর নিজের প্রথম ওভার করতে এসে জয়সুরিয়াকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব।
এরপর টেলএন্ডারের বাকি ব্যাটারদের নিয়ে দলের সংগ্রহ আরও বড় করতে থাকেন সিলেট টেস্টে জোড়া শতক হাঁকানো কামিন্দু। বাঁহাতি এই ব্যাটার এই ইনিংসেও সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ ব্যাটার আসিথা ফার্নান্দো রান-আউট হলে ৯২ রানে অপরাজিত থাকেন কামিন্দু। শেষ তিন ব্যাটারকে নিয়ে দলের খাতায় যোগ করেন ৫৫ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ১১০ রানে ৩ উইকেট নেন সাকিব। অভিষিক্ত হাসান মাহমুদের শিকার ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন খালেদ ও ১৪৬ রান দেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ।
মন্তব্য করুন: