১৭৮ রানেই শেষ বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস

চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার জাকির হাসান ও নাইট ওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। কিন্তু এরপরই খেই হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিক ব্যাটাররা। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৩ হারানোর পর চা বিরতির আগে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রানেই গুটিয়ে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। স্বাগতিকদের ফলো-অন না করিয়ে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করবে শ্রীলঙ্কা।

সোমবার ৪ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির পর খেলা শুরু করেন মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসান। তবে সেশনের পঞ্চম ওভারেই টাইগার শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন আসিথা ফার্নান্দো। ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিবকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ডানহাতি এই পেসার। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে কেবল ১৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তিন বল পরে আবারও নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন লিটন দাস। সমর্থকদের হতাশ করে ৪ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা ডানহাতি এই ব্যাটার।

শাহাদাত হোসেন দিপুও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৭ রানে জীবন পেলেও আর ১ রান যোগ করে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজও ছিলেন সাজঘরে ফেরার তাড়ায়। ব্যক্তিগত ২ রানে প্রভাত জয়সুরিয়াকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন। কিন্তু ফিল্ডার ক্যাচ ধরতে না পারায় সে যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এরপর ৭ রানে একই বোলারের বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন মিরাজ।

ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে একাই লড়াই চালিয়ে যান মুমিনুল। তবে বাঁহাতি এই ব্যাটার ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি। আসিথার বলে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

এর আগে দিনের শুরু থেকেই লঙ্কানদের দারুণ জবাব দেন জাকির-তাইজুল জুটি। বোলারদের দেখেশুনে খেলে প্রথম ঘণ্টা কোনো বিপদ ছাড়াই পার করেন এই দুই ব্যাটার। বিশ্ব ফার্নন্দোকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৯৭ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন জাকির। কিন্তু নিজের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। ফার্নান্দোর পরের ওভারে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৫৪ রান করে। ভাঙে তাইজুলের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি।

এই জুটি ভাঙতেই স্বাগতিকদের ওপর আরও চড়াও হতে শুরু করে লঙ্কানরা। নাজমুল হোসেন শান্তও ফেরেন দ্রুত। পুরো সিরিজে রান খরায় থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক এদিন ফেরেন কেবল ১ রান করে। পরের ওভারে ২২ রান করা তাইজুলেরও স্ট্যাম্প ভাঙেন ফার্নান্দো।