প্রথম সেশনেই গুটিয়ে হোয়াইটওয়াশড বাংলাদেশ
৩ এপ্রিল ২০২৪
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ম্যাচের ফল একপ্রকার অনুমেয়ই ছিল। পঞ্চম দিনে চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে কিংবা ড্র করতে টেলএন্ডারদের নিয়ে অসাধ্য সাধন করতে হতো মেহেদী হাসান মিরাজকে। সে অনুযায়ী হয়তো চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছিলেন ডানহাতি এই অল-রাউন্ডার। কিন্তু ১৮ ওভারের বেশি স্থায়ী হয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। ১৯২ রানে হেরে টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশড হয়েছে স্বাগতিকরা।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২৬৮ রানে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দিনের খেলা শুরু করেন মিরাজ। দিনের শুরুতেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধ-শতক। তবে অপর প্রান্তে পঞ্চম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন পুরো সিরিজে দারুণ ব্যাট করা তাইজুল (১৪)।
তাইজুল ফিরতেই পরাজয় নিশ্চিত হলেও তখনও লড়াই চালিয়ে যান মিরাজ। তাকে সঙ্গ দিয়ে যান হাসান মাহমুদও। কিন্তু নবম উইকেটে ৩১ রানের জুটিতে ২৫ বলে ৬ রান করে লাহিরু কুমারার ওভারে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত এই ক্রিকেটার। তিন ওভার পর কুমারার বলে খালেদ মাহমুদ (২) বোল্ড হলে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের ইংনিস থামে ৩১৮ রানে। ১১০ বলে ১৪ চারের মারে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন মিরাজ, যা পুরো সিরিজে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিক ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়ায় এবং ছয় ব্যাটারের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ১৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
বাংলাদেশকে ফলো-অনে পাঠানোর সুযোগ থাকলেও তা না করে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক পেসারদের তোপের মুখে পড়ে লঙ্কানরা। শেষ পর্যন্ত অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের ফিফটিতে ১৫৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। ৫১১ রানের লক্ষ্যে চতুর্থ দিন ব্যাটাররা ভালো শুরু করলেও কেউই ক্রিজে থিতু হতে না পারেনি। সিরিজের দ্বিতীয় ফিফটিতে মুমিনুল হক আউট হন ৫০ রানে
মন্তব্য করুন: