সমস্যাটা কি তাহলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেই?
৩ এপ্রিল ২০২৪
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে একদম বাজে সময় কেটেছে বাংলাদেশের, বিশেষ করে স্বাগতিক ব্যাটারদের। পুরো সিরিজে কেউ সেঞ্চুরির মুখ দেখেননি। উল্টো বাজে শট খেলে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। টেস্টে ক্রিকেটারদের এমন দায়িত্বহীনতায় প্রশ্ন উঠতেই পারে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে। আর বিষয়টি নিয়ে মুমিনুল হকের পর মুখ খুলেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিন কেবল ১৮ ওভার স্থায়ী হয় বাংলাদেশের ইনিংস। লঙ্কানদের দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩১৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচ হারে ১৯২ রানে।
সিরিজ জুড়ে বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ফিফটি পান ৪টি, যার দুটি মুমিনুলের। সর্বোচ্চ ৮১* রান মেহেদী হাসান মিরাজের। ব্যাটাররা যেন সবসময় তাড়ায় ছিলেন উইকেট বিলিয়ে সাজঘরের ফেরার প্রতিযোগিতায়। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি কেউই। মুমিনুল ও মিরাজ ছাড়া কেউ ফিফটিরও দেখা পাননি।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ব্যাটারদের এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশি করে খেলার কথা জানিয়ে অধিনায়ক শান্ত বলেন, “আমাদের ব্যাটিংয়ে তাকালে দেখবেন, সবাই সেট হয়েছে ঠিকই কিন্তু বড় রান করতে পারেনি। এটা নিয়ে ভাবতে হবে। উইকেটে সেট হয়ে গেলে বড় রান করতে হবে। আমাদের বেশি করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হবে।”
অবশ্য দেশের প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটের মান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মুমিনুল। তার কথায় স্পষ্ট ফুটে ওঠে ঘরোয়া ক্রিকেটের আসল চিত্র। দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে বলে জানান বাঁহাতি এই ব্যাটার।
“শুনতে খারাপ লাগবে, কিন্তু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও টেস্ট ম্যাচ খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য। আকাশ–পাতাল তফাত। আপনারাও জানেন। আমিও জানি। সবাই জানে। এটা অজুহাত নয়। আমি নিজেও জাতীয় লিগ খেলি। এখানে (টেস্টে) যে ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়, সেখানে তা হয় না। আমার কথা হয়তো অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সততার জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি।”
এমনকি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়মিত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট না খেলাকেও সাদা পোশাকে উন্নতি করতে না পারার কারণ হিসেবে দেখেন মুমিনুল। পরিস্থিতি সামলানোর অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলেও বলে মত দেন টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১২ সেঞ্চুরির মালিক।
“আমি চর্চার ভেতরে থাকি...আমার জন্য ও একজন জুনিয়র খেলোয়াড়ের মধ্যে তফাত আছে। আমি ৬১টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। এ কারণে ম্যাচের পরিস্থিতিগুলো আমি বুঝি, জানি আমি, কোন সময় কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। কখনওপারি, কখনও পারি না।”
মন্তব্য করুন: