গতির ঝড় তোলা কেবল শুরু করেছেন মায়াঙ্ক
৩ এপ্রিল ২০২৪
মায়াঙ্ক যাদবের সঙ্গে ক্রিকেট বিশ্বের পরিচয়টা খুব বেশি দিনের নয়। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টসের হয়ে গত শনিবার আইপিএলে অভিষেক হয় তরুণ এই পেসারের। আর মাঠে নেমেই গতির ঝড় তুলে ক্রিকেটপ্রেমীদের নজরে চলে এসেছেন তিনি। তবে এতেই সন্তুষ্ট হতে চান না মায়াঙ্ক, তার লক্ষ্য ভারতের হয়ে বিশ্ব মঞ্চে ঝড় তোলা।
পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ঘণ্টায় ১৫৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন মায়াঙ্ক। তখন সেটিই ছিল চলতি আইপিএলে সর্বোচ্চ গতির বল। এর তিন দিন পরেই মঙ্গলবার রাতে ভাঙেন নিজের রেকর্ড। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বল করেন ঘণ্টায় ১৫৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার বেগে।
২১ বছর বয়সী মায়াঙ্কের গতির সামনে টিকতে পারেনি বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু, ম্যাচ হারে ২৮ রানে। নিখুঁত লাইন-লেন্থে মাত্র ১৪ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে মায়াঙ্ক জানান, গতির ঝড় তোলা কেবল শুরু। নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে এই পেসার বলেন, “আমার লক্ষ্য হলো দেশের হয়ে যত বছর পারি ভালো করা। এটা কেবল শুরু, আমার মনোযোগ আমার প্রধান লক্ষ্যের দিকে।”
তবে গতির ঝড় তুললেও এখনও আইপিএলে সর্বোচ্চ গতির বলের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি মায়াঙ্ক। ১৩ বছর আগে ২০১১ সালে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ঘণ্টায় ১৫৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার বেগে বল করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শন টেইট। পরের অবস্থানে আছেন ২০২২ সালে রাজস্থানের বিপক্ষে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে নিউ জিল্যান্ডের করা লকি ফার্গুসনের ঘণ্টায় ১৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতির বলটি। এবারের মৌসুমে মায়াঙ্ক যেভাবে এগুচ্ছেন তাতে চলতি মৌসুমেই সর্বোচ্চ গতির রেকর্ডটি নিজের করে নিতে পারেন।
অন্যদিকে, শুধু যে গতির ঝড় তুলেই মায়াঙ্ক থেমেছেন তা কিন্তু নয়। আইপিএলের ইতিহাসের প্রথম কোনো ক্রিকেটার হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচেই ম্যাচসেরার পুরস্কারের খেতাবও নিজের করে নিয়েছেন। পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। গত ৩০ মার্চ অভিষেকের আগেও যাকে তেমন কেউ চিনতো না, সেই মায়াঙ্ক এখন আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত দলে থাকবেন কি না, সেই আলোচনাও হচ্ছে।
মন্তব্য করুন: