আম্পায়ারের ভুলে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়- স্বীকার করলেন এরাসমাস

৩ এপ্রিল ২০২৪

আম্পায়ারের ভুলে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়- স্বীকার করলেন এরাসমাস

বহুল আলোচিত আর সমালোচিত ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে এবার মুখ খুললেন সম্প্রতি অবসর ঘোষণা করা আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস। সেই আলোচিত ফাইনালে ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষদিকে মার্টিন গাপটিলের একটি থ্রোয়ের থেকে ৬ রান দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন দুই ফিল্ড আম্পায়ার এরাসমাস এবং কুমার ধর্মসেনা। পাঁচ বছর পর এরাসমাস নিজেই স্বীকার করে নিলেন, তাদের ভুলেই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতেছিল!

সেই রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের করা ২৪১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডও নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪১ রান করলে ম্যাচটি টাই হয়। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেই সুপার ওভারেও দুই দলেরই রান সমান হলে মূল ম্যাচে বাউন্ডারির হিসাবে বিজয়ী হয় ইংলিশরা। যদিও বিশ্বকাপের পর এই বাউন্ডারি আইন বাতিল করেছে আইসিসি। সব ছাপিয়ে আলোচনায় ছিল দুই আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত।

ম্যাচের ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে দুই রান নিতে যান বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ। ১ রান সম্পন্ন হওয়ার পর মার্টিন গাপটিল বল ধরে থ্রো করেন। পরে দৌড়াতে থাকা বেন স্টোকসের ব্যাটে লেগে বলটি বাউন্ডারি হয়ে যায়। ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ঘোষণা করেন, অতিরিক্ত ৪ রান এবং দৌড়ে নেয়া ২ রান মিলিয়ে ৬ রান পাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু গাপটিল বল ছোড়ার সময় স্টোকস ও আদিল রশিদ দ্বিতীয় রানের জন্য পরস্পরকে ক্রস করেননি। তাহলে ৬ রান কীভাবে হয়? 

ওই সময় খ্যাতিমান আম্পায়ার তথা ক্রিকেট আইন প্রণয়নকারী সংস্থা এমসিসির উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য সাইমন টাফেল বলেছিলেন, এটা পরিষ্কার ভুল। ইংল্যান্ডকে ৬ রান নয়, ৫ রান দেয়া উচিৎ ছিল। আম্পায়ারদের অবশ্যই টিভি রিপ্লে দেখা উচিৎ ছিল।

এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এরাসমাস। দ্য টেলিগ্রাফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, (ফাইনালের) পরদিন আমি হোটেল রুম থেকে ব্রেকফাস্ট করতে যাব, এমন সময় কুমার ধর্মসেনা দরজা খুলে আমার সামনে এলো। সে আমাকে বলল, তুমি কি বুঝতে পারছ আমরা কত বড় একটা ভুল করেছি? তখনই আমি বিষয়টা সম্পর্কে জানতে পারি। কিন্তু মাঠে তো আমরা ৬ রানের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। তখন বুঝতে পারিনি যে, ওরা দুজন একে অন্যকে ক্রস করেনি!

নিউ জিল্যান্ডের প্রশংসা এবং নিজেদের দায় স্বীকার করে এরাসমাস আরও বলেন, এটা অনেক বড় বিষয় ছিল। ওই সাত সপ্তাহে সেটাই ছিল আমার একমাত্র ভুল সিদ্ধান্ত। আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, সেই ভুলটা না হলে আমি পুরো বিশ্বকাপটা নির্ভুলভাবে শেষ করতে পারতাম এবং অবশ্যই ওই সিদ্ধান্তটি ম্যাচের ফলাফলে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছিল। তারা (নিউ জিল্যান্ডের ক্রিকেটার) এই সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়েছে।

মন্তব্য করুন: