টি-টুয়েন্টির তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি নারাইনের কাছে ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং

৪ এপ্রিল ২০২৪

টি-টুয়েন্টির তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি নারাইনের কাছে ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং

বিশ্ব ক্রিকেটে রহস্যময় স্পিনার হিসেবেই ক্যারিয়ারটা শুরু করেছিলেন সুনিল নারাইন। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডানহাতি এই স্পিনার। অথচ এখন পর্যন্ত ৫০১ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে ৫৩৮ উইকেট শিকার করা এই ক্রিকেটারের কাছেই কিনা ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং!

অবশ্য নারাইনের এমনটা বলার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। বুধবার রাতে বিশাখাপত্তনমে দিল্লি ক্যাপিটালস বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে আইপিএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭২ রানের দলীয় সংগ্রহ গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর ধ্বংসলীলায় এদিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন নারাইন নিজেই।

ওপেনিংয়ে নেমে ৭টি করে চার ও ছক্কায় ৩৯ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার, যা তার ক্যারিয়ার সেরাও। বোলার থেকে নারাইনের পুরোদস্তর অল-রাউন্ডার হয়ে যাওয়ার মূল কৃতিত্বটাও সম্ভবত কলকাতারই। এরপর বল হাতে ২৯ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার খেতাবটাও নিজের করে নেন নারাইন।

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে গিয়েই ক্যারিবিয়ান এই তারকা জানান ব্যাটিংয়ের সাফল্যই তাকে বেশি তৃপ্তি দেয়। দলের হয়ে ব্যাট হাতে আরও বেশি অবদানও রাখতে চান।

আমার মনে হয়, ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং। ব্যাট হাতে তাই আরও বেশি অবদান রাখতে চাই। যে দিন এটা করতে পারি, তৃপ্তিটা বেশিই হয় (বোলিংয়ের চেয়ে)। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই বোলিং এখনও উপভোগ করি।

আইপিএলের আগে এবারের বিপিএলে ব্যাট হাতে সফল হতে পারেননি নারাইন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে চার ম্যাচে ওপেন করে তার মোট রান ছিল ৩৬। এরপর আইপিএলেও কলকাতার প্রথম বার ওপেন করে আউট হন দুই রানে। তবে র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ২২ বলে ৫ ছক্কায় ৪৭ করে নিজের আগ্রাসী রূপে ফেরেন। এরপর দিল্লির বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এই দুই টুর্নামেন্টে ওপেনারের ভূমিকায় খেললেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি-টুয়েন্টিতে আবু ধাবি নাইট রাইডার্সে নারাইন খেলেন ব্যাটিং-অর্ডারের নিচের দিকে। সেই দলের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। এই বিষয়ে দলের চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা জানিয়ে এই অল-রাউন্ডার বলেন,আমাদের পর্যাপ্ত ব্যাটার ছিল সেখানে এবং নিজেদের কাজটা তারা করছিল। ভালো স্কোর গড়ছিল তারা। আমার ওপরে খেলার প্রয়োজন পড়েনি। দিনশেষে ব্যাপারটি হলো, দলের কী প্রয়োজন। আমাকে ওপেন করতে বলা হলে আমি করি। নইলে ব্যাটাররাই কাজটা করে নেয়।

মন্তব্য করুন: