রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৮.২ ওভারেই শেষ ১০০ ওভারের ম্যাচ
৬ এপ্রিল ২০২৪
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের নবম রাউন্ডে এক অনন্য নজির গড়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আবু হায়দার রনির বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১০০ ওভারের ম্যাচের ফলাফল এসেছে স্রেফ ১৮ ওভার ২ বলে! বাঁহাতি পেস বোলিংয়ে ২০ রানে ৭ উইকেট নিয়ে গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমিকে স্রেফ ৪০ রানে গুটিয়ে দিয়েছেন রনি। তাদের ইনিংসের স্থায়ীত্ব ছিল স্রেফ ১২ ওভার!
শনিবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে রনি ও নাসুম আহমেদ ছাড়া আর কাউকেই বোলিংয়ে আনেননি মোহামেডান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের বিপদ যেন নিজেরাই ডেকে আনে গাজী টায়ার্স। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন রনি। ওভারের দ্বিতীয় বলে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আশিকুর রহমান শিবলীকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এরপর ওভারের পঞ্চম বলে ইফতেখার হোসেনকে ফেরান ২৮ বছর বয়সী এই পেসার।
পরের ওভারেও ২ উইকেট নেন রনি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে আশরাফুল আলমের ফিরতি ক্যাচ নিয়ে মাত্র ৩ রানে বাঁহাতি এই পেসার ক্যারিয়ারের তৃতীয় ৫ উইকেট পূর্ণ করেন।
অপর প্রান্তে নাসুম ৩ উইকেট নিলে পাওয়ার প্লের মধ্যে ২৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে গাজী টায়ার্স শঙ্কায় ছিল দেশের লিস্ট-এ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অল-আউট হওয়ার। কিন্তু ইফতেখার সাজ্জাদের ইনিংস সেরা ১১ বলে ১৬ রানের ইনিংসে দলকে ৪০ পর্যন্ত নিয়ে যান।
দ্বাদশ ওভারে শেষ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরানোর আগে সাজ্জাদকেও এলবিডব্লিউ করেন রনি। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪টি উইকেট ব্যাটারদের এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে নেন তিনি। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ২০ উইকেট বাঁহাতি এই পেসারের।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেশের লিস্ট-এ ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড গড়ে মোহামেডান। রনি তালুকদারের (১২) উইকেট হারিয়ে ৬ ওভার ২ বলে ২৬২ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জেতে তারা। ২১ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল।
দেশের লিস্ট -এ ক্রিকেটের ইতিহাসে এর চেয়েও কম রানে অল-আউট হওয়ার রেকর্ড আছে আরও দুটি। ২০০২ সালের জাতীয় ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে সংস্করণে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ম্যাচটি ২৬১ বল হাতে রেখে জেতে সিলেট। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ক্রিকেট কোচিং স্কুলকে ৩৫ রানে অল-আউট করে আবাহনী। তবে গাজী টায়ার্সের চেয়ে এত কম বলে কোনো দলই সব উইকেট হারায়নি।
মন্তব্য করুন: