ক্যাচ ফেলেও হাসি, মার খেলেও হাসি, হার্দিকের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন
১৭ এপ্রিল ২০২৪
মোটা অংকের বিনিময়ে গুজরাট টাইটান্স থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে এসে এমন বিপদে পড়বেন- সেটা নিশ্চয়ই কল্পনাতেও ভাবেননি হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাটে-বলে বাজে পারফর্ম্যান্স, প্রশ্নবিদ্ধ নেতৃত্ব আর দলের পরাজয়ে তার অবস্থা করুণ। দর্শকদের দুয়োধ্বনি তো আছেই। এবার বেরিয়েছে নতুন সমস্যা, যার ফলে হার্দিকের মানসিক অবস্থা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেছে।
গুজরাটকে প্রথম আসরেই শিরোপা এনে দেওয়া হার্দিক মুম্বাইয়ে যেতেই গুজরাট সমর্থকেরা ক্ষেপে গিয়েছিল। এরপর রোহিত শর্মাকে সরিয়ে যখন হার্দিককে মুম্বাইয়ের অধিনায়ক করা হলো, তখন মুম্বাই সমর্থকেরাও তার ওপর চটে গেলেন। তাই মাঠে নামলেই হার্দিককে দুই পক্ষেরই দুয়ো শুনতে হয়। এমনকী গুজরাটের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে কুকুর ঢুকতেই দর্শকরা ‘হার্দিক’ ‘হার্দিক’ চিৎকার শুরু করেন!
পাল্টা জবাব হিসেবে রোহিত শর্মাকে সীমানায় ফিল্ডিংয়ে পাঠান হার্দিক। রোহিত ভীষণ অবাক হয়ে গেলেও অধিনায়কের নির্দেশ মেনে নেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, মুম্বাইয়ের ডাগ-আউটে হার্দিক এখন একা। তার সতীর্থরাও নাকি তাকে পছন্দ করছেন না। মাঠের বিরূপ পরিস্থিতিতেই তাকে হাসতে দেখা যায়। ক্যাচ ফেলে কিংবা বল হাতে বেদম মার খেয়েও হাসেন হার্দিক! এটা কি শুধুই নিজেকে চাঙ্গা রাখতে?
গত রোববার চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারের পর হার্দিকের মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ধারাভাষ্যের দায়িত্বে থাকা কেভিন পিটারসেন, “আমার মনে হচ্ছে, মাঠের বাইরের ঘটনা হার্দিকের উপর প্রভাব ফেলছে। টস করার সময় দেখলাম সে খুব হাসছে। আসলে সে হয়তো দেখাতে চাইছে যে, সব ঠিকঠাক আছে। সে খুব খুশি। কিন্তু আসলে সে মোটেই খুশি নয়। আমি ওই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। তাই আমি জানি, হার্দিকের মনের মধ্যে কী চলছে।”
পিটারসেনের ধারাভাষ্যের সঙ্গী সুনিল গাভাস্কার তো হার্দিককে একেবারে ধুয়ে দিয়েছেন, “ভয়াবহ বোলিং। ভয়াবহ নেতৃত্ব। হাতে একাধিক বোলার থাকতেও কেন সে নিজে বোলিংয়ে এলো? ধোনি অপেক্ষা করছিল ওর বল কখন পায়ের কাছে আসবে। হার্দিক সেটাই করে ধোনিকে ছক্কা মারার সুযোগ করে দিয়েছে। খুব সাধারণ মানের বোলিং, ততটাই সাধারণ মানের নেতৃত্ব! শ্রেয়স গোপালকে কেন মাত্র এক ওভার করানো হলো? আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করা বুমরাহকে তো নতুন বলই দেয়নি হার্দিক। এটার নাম নেতৃত্ব?”
মন্তব্য করুন: