শিশিরের কারণেই কি চেন্নাইয়ের দুর্গ রক্ষা করতে পারেননি মুস্তাফিজ?
২৪ এপ্রিল ২০২৪
শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৭ রান। স্ট্রাইকে তখন সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টসকে জয়ের লক্ষ্যে রাখা মার্কাস স্টয়নিস। আর চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে অপরাজিত রাখতে বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান। রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় ছিলেন গ্যালারি ভর্তি সমর্থকরাও। কিন্তু মুস্তাফিজকে একের পর এক বাউন্ডারিতে চেন্নাইয়ের মাঠে রেকর্ড লক্ষ্য তাড়া করে দলকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দিয়েছেন স্টয়নিস।
মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এমন হারের পেছনে শিশিরের বড় ভূমিকা দেখছেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ডানহাতি এই ওপেনারের মতে, শিশিরের কারণে মাঝের ওভারগুলোতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে রাখতে পারেনি তারা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে চেন্নাই অধিনায়ক বলেন, “শিশির অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। আমার মনে হয় অনেক বেশি শিশির ছিল, যা আমাদের স্পিনারদের ম্যাচে অবদান রাখতে দেয়নি। যদি শিশির না থাকত, আমরা মিডল ওভারে খেলাটাকে নিয়ন্ত্রণ করে ম্যাচটিকে আরও গভীরে নিয়ে যেতে পারতাম। তবে এটার খেলার অংশ। যেটা আপনার হাতে নেই তা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন না। এখনো টুর্নামেন্টের অনেক পথ বাকি।”
রুতুরাজের কথার কিছুটা সত্যতা মেলে ম্যাচে বোলারদের পারফরম্যান্সেও। দলের দুই স্পিনার মঈন আলী ও রবীন্দ্র জাদেজা বল করেন মোটে চার ওভার। অন্যদিকে, বল হাতে নিজের প্রথম ওভারে ৪ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট নিলেও পরে খেই হারিয়ে ফেলেন মুস্তাফিজ। ১৫তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে ছন্দ হারান বাঁহাতি এই পেসার। সেই ওভারে দেন ১৩ রান। অধিনায়কের কথা বিবেচনা করলে শিশিরের কারণেই হয়তো তিনি আর বল ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
১৮তম ওভারে আবার আক্রমণে এসে দুই ছক্কা হজম করে ১৫ রান দেন মুস্তাফিজ। সে ওভারেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন স্টয়নিস। আর শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে জয় একদম হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার। তিন নম্বর বলে আরেকটি ভুল করে বসেন মুস্তাফিজ। নো বলের সঙ্গে চারও হজম করতে হয় বাঁহাতি এই পেসারকে। ফ্রি হিটে আরেকটি চারে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান স্টয়নিস।
লোকেশ রাহুলের দল ২১১ রানের লক্ষ্য ৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই পার করে। দুর্দান্ত এই জয়ের নায়ক স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ৬৩ বলে ১৩ চার ও ৬ ছক্কায় ১২৪ রানে। গত দুই ম্যাচের পর এদিনও খরুচে বোলিংয়ে ৩ ওভার ৩ বলে মুস্তাফিজ দেন ৫১ রান। শিকার করেন রাহুলের উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজের অপরাজিত ১০৮ ও শিবম দুবের বিধ্বংসী ৬৬ রানের সুবাদে ২১০ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল চেন্নাই।
মন্তব্য করুন: