পান্তের তাণ্ডবে মোহিত শর্মার বিব্রতকর রেকর্ড
২৫ এপ্রিল ২০২৪
দিল্লি ক্যাপিটালসের ইনিংসের শেষ ওভার যখন মোহিত শর্মা বোলিংয়ে এসেছিলেন তখন তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৯৩ রান। কিন্তু রিশাভ পান্তের ৬ বলের তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২৪ রানের। আর এতেই এক বিব্রতকর এক রেকর্ড গড়েছেন গুজরাট টাইটান্সের মোহিত।
বুধবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ৪ ওভারে কোনো উইকেট না পেয়ে ৭৩ রান দিয়ে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়েন ডানহাতি এই পেসার। আগের এই রেকর্ডটি ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বাসিল থাম্পির। ২০১৮ সালের আসরে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪ ওভারে ৭০ রান দেন এই পেসার।
দিল্লি ইনিংসের ২০তম ওভারে বোলিংয়ের আগে ৩ ওভারে ৪২ দেন মোহিত। স্ট্রাইকে থাকা পান্তের তখন রান ছিল ৫৮। ওভারের প্রথম বলে বাঁহাতি এই ব্যাটার দেন দুই রান। পরের বলটিতে ওয়াইড দেন মোহিত। এরপরের পাঁচ বলে যথাক্রমে ছক্কা, চার, ছক্কা, ছক্কা ও ছক্কা হাঁকিয়ে ওভারে ৩১ রান যোগ করেন দিল্লি অধিনায়ক।
এতেই ৩৪ বলে ফিফটি করা পান্ত তার শেষ ৯ বলে করেন ৩৩ রান। চলতি মৌসুমে তৃতীয় ফিফটিতে ৪৩ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। এছাড়াও অক্ষর প্যাটেলের ৪৩ বলে ৬৬ ও ট্রিস্টান স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে বড় সংগ্রহ পায় দিল্লি।
জবাবে শুরুতে উইকেট হারালেও সাই সুদর্শন ও ডেভিড মিলারের ঝড়ো ফিফটি এবং শেষ দিকে রশিদ খানের ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিওর পরেও জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থামে গুজরাটের ইনিংস।
মোহিত ও থাম্পির পর আইপিএলের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় পরের স্থানে আছেন ইয়াশ দয়াল। গত আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৬৯ রান দেন তিনি। আর চলতি বছর হায়দরাবাদের রেকর্ড ২৮৭ রানের ইনিংসের ম্যাচে ৬৮ রান দেন বেঙ্গালুরুর ইংলিশ পেসার রিস টপলি।
তবে স্বীকৃত টি-টুয়েন্টিতে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডের তালিকায় যৌথভাবে সাত নম্বরে আছেন মোহিত। এই তালিকার শীর্ষে আছেন ডার্বিশায়ারের ম্যাথিউ ম্যাকিয়ারনানের। ২০২২ সালে সমারসেটের বিপক্ষে এ লেগ স্পিনার ৪ ওভারে দেন ৮২ রান। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড শ্রীলঙ্কার কাসুন রাজিথার। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই পেসার ৪ ওভারে ৭৫ রান দেন।
মন্তব্য করুন: