মুশফিকের আউট নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের প্রতিবাদ, খেলা বন্ধ ১৩ মিনিট
২৫ এপ্রিল ২০২৪
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবারও আউট নিয়ে খেলা সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটল। মুশফিকুর রহিমের একটা ক্যাচ নিতে গিয়ে আবু হায়দার রনির পা সীমানা দড়ি স্পর্শ করেছে বলে দাবি করেন তামিম ইকবালসহ প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা। আম্পায়ার মুশফিককে আউট দেন। এ নিয়ে বাদানুবাদে খেলা বন্ধ থাকে ১৩ মিনিট।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলায় প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসের ৩৪তম ওভারে মোহামেডানের অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে স্লগ সুইপ খেলেন মুশফিক। স্কয়ার লেগ থেকে বাঁদিকে অনেকটা ছুটে ফুল লেংথ ডাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করেন আবু হায়দার। টিভি রিপ্লে না থাকায় মাঠের মাঝখান থেকে আম্পায়ারদের বোঝার উপায় ছিল না, সেটা ক্যাচ হয়েছে কি হয়নি। দুই আম্পায়ার এআইএম মনিরুজ্জামান ও সাথিরা জাকির জেসি নিজেদের মধ্য আলোচনা করতে থাকেন।
এদিকে ক্যাচ নিয়ে আম্পায়াদের কাছে এগিয়ে আসেন আবু হায়দার। তিনি দুই আম্পায়ার এবং প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক জাকির হাসানকে কিছু বোঝাতে থাকেন। প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা সবাই সীমানার পাশে জড়ো হন। আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তামিমকে। মাঠে মুশফিককেও বেশ উত্তেজিত দেখা যায়। এক সময় আম্পায়ার আঙুল উঁচিয়ে তাকে আউট ঘোষণা করেন। মুশফিক ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা দিতেই মাঠের বাইরে থেকে তাকে থামতে বলা হয়।
সীমানা দড়ির বাইরে থাকা প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা তখন উত্তেজিত। মোবাইল ফোনে অনেকেই বিসিবির ইউটিউব রিপ্লে দেখাচ্ছিলেন। সেই রিপ্লেতে দুটি অ্যাঙ্গেল থেকে স্পষ্ট দেখা যায়, ক্যাচ নিয়ে গড়িয়ে যাওয়ার সময় আবু হায়দারের পা সীমানা দড়ি স্পর্শ করেছে। কিন্তু এসব ম্যাচে যেহেতু থার্ড আম্পায়ার নেই, তাই রিপ্লে দেখে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত দেওয়ারও সুযোগ নেই। ফিল্ডারদের কথার ওপর ভরসা করেই সীমানার ক্যাচের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ারেরা।
কথা কাটাকাটির কারণে ১৩ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। শেষ পর্যন্ত মুশফিককে ড্রেসিংরুমে ফিরতেই হয়। ম্যাচটি ৩৩ রানে হেরে যায় প্রাইম ব্যাংক। খেলা শেষে মোহামেডানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে মাঠে নামেন শুধু তামিম ইকবাল। প্রাইম ব্যাংকের অন্য কোনো ক্রিকেটার ড্রেসিং রুম থেকে বের হননি। এর আগে ১৩১ বলে ৯ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১৪১ রানের ইনিংস খেলেন রনি তালুকদার; মোহামেডান তুলেছিল ৩১৭ রান।
দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন রনি তালুকদার। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুশফিকের সেই আউট নিয়ে তিনি বলেন, “(আউট কি না) সেটা তো রনিই (আবু হায়দার) ভালো জানে। কারণ রনিই ক্যাচটা ধরেছে। রনির ওপরেই পুরোটা নির্ভর করবে। ও যে সিদ্ধান্তটা দেবে, সেটার ওপরেই…কারণ এখানে তো ওইভাবে ক্যামেরা ছিল না। থার্ড আম্পায়ার যদি থাকত, তাহলে সেটা ভালোভাবে দেখতে পারত। এখন এটা খেলোয়াড়দের ওপরেই যায়।”
এর আগে গত ১৫ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে একটি এলবিডব্লিউ নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিলেন প্রাইম ব্যাংকের তামিম ইকবাল। সেদিনও ম্যাচ কিছু সময় বন্ধ ছিল।
মন্তব্য করুন: