ডিপিএলে নারী আম্পায়ারে ক্রিকেটারদের আপত্তি

২৭ এপ্রিল ২০২৪

ডিপিএলে নারী আম্পায়ারে ক্রিকেটারদের আপত্তি

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে শিরোপা জয়ের দিক দিয়ে হোক কিংবা সাফল্য বয়ে আনা, ছেলেদের চেয়ে বেশ এগিয়ে আছেন মেয়েরা। সময়টাও এখন নারী অগ্রযাত্রার। তবে এমন সময় এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেটাররা। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে নারী আম্পায়ার দায়িত্বে থাকায় খেলতে আপত্তি জানিয়েছিল দুই ক্লাব। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।

গত বৃহস্পতিবার প্রাইম ব্যাংক এবং মোহামেডানের সুপার লিগের বিতর্কিত ম্যাচে মনিরুজ্জামানের সঙ্গে আম্পায়ার হিসেবে মাঠে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। আম্পায়ারকে নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড় কর্মকর্তাদের আপত্তির কারণে নাকি সেদিন নির্ধারিত সময়ের পরে ম্যাচ শুরু করতে হয়েছিল। এমনকি আম্পায়ার পরিবর্তনের জন্য ইফতেখারকে ফোনও করা হয়েছিল।

এই বিষয়ে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, “তারা (দুই দল) এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিল, কিন্তু পরে মেনে নিয়েছে। তিনি (জেসি) একজন আইসিসির অফিশিয়াল আন্তর্জাতিক আম্পায়ার। তাকে যেহেতু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, অবশ্যই মূল্যায়ন করে দেয়া হয়েছে। এখন এটা না মানলে তো আমরা বৈষম্য করছি।

এই ঘটনায় ম্যাচ পরিচালকের রিপোর্টের পর পরবর্তী করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে জানান ইফতেখার। তবে শাস্তির বিষয়টি ঢাকা মহানগর ক্রিকেট কমিটির (সিসিডিএম) হাতে।

শাস্তি দেয়ার বিষয়টা আসলে সিসিডিএমের। আমরা তাদের জানাব। আমি শাস্তি দেয়ার কেউ না। আমি আমার আম্পায়ারকে শাস্তি দিতে পারব। আমি যেটা শুনেছি এটা হয়েছে। আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করব কী হয়েছে। যদি এটা আসলেই হয়ে থাকে তাহলে এটা আসলে বৈষম্য। তিনি একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার, নারী হোক বা পুরুষ।

তবে এদিনের ম্যাচটি বিতর্কিত হয় অন্য কারণে। মুশফিকুর রহিমের আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রায় ১৩ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ম্যাচের ৩৪তম ওভারে বাউন্ডারির কাছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের ক্যাচ নেন মোহামেডানের আবু হায়দার রনি। তবে সে সময় রনির পা সীমানার দড়ি স্পর্শ করেছিল বলে দাবি করেন প্রাইম ব্যাংকের ক্রিকেটাররা। পরে শুক্রবার এই ক্যাচের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান মুশফিক।   

এর আগেও লিগে আম্পায়ারিং নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। এবার এইসব ভুলের কথা স্বীকার করেছে বিসিবি। নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে ইফতেখার বলেন, “তারা (আম্পায়াররা) হয়তো ভুল করছে কিন্তু এটা ইচ্ছাকৃত না। আম্পায়ারের কাছে প্লেয়ার বলবে, আউট কি আউট না। এখানে আম্পায়ারের দোষটা কী। প্লেয়ার যদি আম্পায়ারকে সত্যি না বলে এখানে তার কী করার। এখানে আম্পায়ারকে দোষ দেয়ার কিছু নেই।

মন্তব্য করুন: