স্কুলে গিয়ে মেয়েদের ক্রিকেট খেলতে উদ্বুদ্ধ করলেন অধিনায়ক নিগার
২৯ এপ্রিল ২০২৪
ভারতের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বড় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। কিন্তু এই জ্যোতিদের দেখেই ভবিষ্যতে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দেশের অনেক কিশোরীরা। তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতেই সিলেটের তিনটি স্কুলে ভ্রমণ করলেন অধিনায়ক নিগার, লেগ স্পিনার ফাহিমা ও পেসার মারুফা। সঙ্গে ছিলেন বিসিবির উইমেনস উইংয়ের হেড অব অপারেশনস হাবিবুল বাশার।
সোমবার শুরুতে আম্বরখানা গার্লস স্কুলে যান নিগাররা। এরপর ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আনন্দনিকেতনে গিয়ে তারা ভারতের বিপক্ষে চলমান টি-টুয়েন্টি সিরিজে শিক্ষার্থীদের মাঠে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি মেয়েদের ক্রিকেটে উদ্বুদ্ধ করেন। বিসিবির চাওয়া, এই সিরিজ দেখতে শিক্ষার্থীরা মাঠে আসুক। শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো টিকিট লাগবে না, স্রেফ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখালেই চলবে।
নিগারদের কাছে পেয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছাস ছিল বাঁধভাঙা। কেউ খাতা, কেউ নোটবুক, কেউবা আবার বাড়িয়ে দিয়েছে একটা পৃষ্ঠা। সবার উদ্দেশ্য একটাই—বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়কের একটা অটোগ্রাফ নেওয়া। নিগারও ক্লান্তিহীনভাবে অটোগ্রাফ দিয়ে গেছেন। তারপরও সবার আবদার রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। অটোগ্রাফ দেওয়া শেষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু সময় ক্রিকেটও খেলেছেন নিগাররা।
সাংবাদিকদের বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, “আমার জন্য একেবারেই নতুন অভিজ্ঞতা। অনেক ভালো লেগেছে। যে তিনটি স্কুলে গিয়েছি, বাচ্চাদের যে উৎসাহ দেখেছি এবং আগ্রহ—তারাও খেলতে চায়। পুরো দল আসতে পারলে হয়তো সবারই আরও অনেক ভালো লাগত। ভালো একটা উদ্যোগ। যারই বুদ্ধি, আমি বলব অসাধারণ। মেয়েদের ক্রিকেটের প্রচারণাও হলো, পাশাপাশি এ সিরিজেরও একটা হাইপ তৈরি করা গেল।”
মেয়েদেরকে ক্রিকেটে আনতে স্কুল অনেক বড় মাধ্যম বলেও মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, “তারা অনেক রোমাঞ্চিত ছিল। তারা খেলাটা অনুসরণ করে। আর এটা আমাদের জন্যও ভালো, কারণ বিসিবিও এটাই চায়—মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে প্রচার-প্রসার যত বাড়ানো যায়। এটা স্কুল থেকেই শুরু করতে হবে, আমিও কিন্তু স্কুল ক্রিকেট থেকেই শুরু করেছি। স্কুলের মেয়েরা যত আগ্রহী হবে, ততই মেয়েদের ক্রিকেট সমৃদ্ধ হবে।”
সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার বলেন, “আমরা মেয়েদের ক্রিকেটকে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি। বিশেষ করে সিলেটে খেলা চলছে, আমরা চাই মেয়েরা আসুক খেলা দেখতে। সবাই যেন মাঠে খেলা দেখতে আসে। আশা করি, যে প্রচারণা করলাম, এখান থেকে যদি কিছু খেলোয়াড় উঠে আসে উদ্বুদ্ধ হয়ে, সেটাই আমাদের পাওনা। মেয়েরা যে খেলতে আসতে পারে, এটা নিরাপদ জায়গা—সেটা বোঝাতে হবে। তখন আরও মেয়ে খেলতে উদ্বুদ্ধ হবে।”
মন্তব্য করুন: