৮ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়েও জিম্বাবুয়ের লড়াকু স্কোর

৮ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়েও জিম্বাবুয়ের লড়াকু স্কোর

চট্টগ্রামের উইকেট এমনিতেই ব্যাটিং সহায়ক থাকে, তবু ব্যাটিংয়ে নেমে খেই হারিয়ে ফেলল জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার থেকে উইকেট পতনের শুরু। বল হাতে জ্বলে উঠলেন দুই পেসার তাসকিন-সাইফউদ্দিন আর স্পিনার শেখ মাহেদি। প্রথম ৮ ওভারে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলল মাত্র ৪১ রানের মাঝে! এরপর দারুণ এক জুটিতে জিম্বাবুয়ে ১২৪ রানে অল-আউট হয়।

শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। শরীফুল ইসলামের করা প্রথম ওভারে আসে ৮ রান। পরের ওভারেই ক্রেইগ আরভিনকে (০) ক্লিন বোল্ড করে দেন শেখ মাহেদি। পরের ওভারে শরীফুল ইসলামকে তিন বাউন্ডারি মেরে ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দেন ব্রায়ান বেনেট। কিন্তু না, পঞ্চম ওভারেই ঘুরে যায় ম্যাচের ভাগ। টানা তিন বলে তিন উইকেট পায় বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে জয়লর্ড গাম্বিকে (১৭) ফেরান তাসকিন।

পরের ওভারের প্রথম বলে রান-আউট হয়ে যান ১৬ রান করা বেনে। দ্বিতীয় বলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে (০) লিটনের তালুবন্দি করেন শেখ মাহেদি। সপ্তম ওভারের প্রথম দুই বলে শন উইলিয়ামস (০) আর রায়ান বার্লকে (০) ফেরনা তাসকিন। এখানেই শেষ নয়, ৮ম ওভারের চতুর্থ বলে সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হন লুকি জঙ্গুই (২)। মিড অনে চমৎকার ক্যাচ নেন তাওহীদ হৃদয়। ৪১ রানে নেই ৭ উইকেট। এরপর প্রতিরোধ গড়েন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা আর ক্লাইভ মাদান্দে।

অবশ্য মাসাকাদজার ক্যাচ ফেলে জুটি গড়ায় অবদান রাখেন মাহমুদউল্লাহও। এই জুটিতেই ১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর তিন অংকে পৌঁছায়। ৬৫ বলে ৭৫ রানের ৮ম উইকেট জুটি ভাঙেন তাসকিন। তার ভয়ংকর এক ইয়র্কারে স্টাম্প উপড়ে যায় ৩৯ বলে ৪৩ রান করা মাদান্দের। সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের শেষ বলে ক্যাচ দিয়েও নো বলের কল্যাণে বেঁচে গিয়েছিলেন মাসাদকাদজা (৩৪)। কিন্তু বৈধ বলে তিনি ফের রান-আউট হয়ে যান! জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে অল-আউট হয় ১২৪ রানে। পেসার তাসকিন আহমেদ ১৪ রানে নেন ৩ উইকেট, সাইফউদ্দিন নেন ১৫ রানে ৩টি আর স্পিনার শেখ মাহেদি ১৬ রানে ২ উইকেট নেন।

মন্তব্য করুন: