হেড-অভিষেকের ছক্কার বৃষ্টিতে হায়দরাবাদের যতো রেকর্ড
৯ ওভার ৪ বলে ১৬৭ রান – চলতি মৌসুমের বেশ কিছু ম্যাচে প্রথম ১০ ওভারে এভাবেই প্রতিপক্ষের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। কিন্তু এবারের এই স্কোরটা ভিন্ন অন্য এক কারণে। বুধবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টসের দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়ে এত দ্রুতই তাড়া করেছে প্যাট কামিন্সের দল। ট্র্যাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা একের পর এক বল সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন এক রেকর্ড জয়।
হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের জয়টি হলো ছেলেদের টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ১০ ওভারের মধ্যে এত বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। হেড-অভিষেকের ঝড়ে ভেঙে গেছে ২০১৯ সালে বিগ ব্যাশে ব্রিজবেন হিটের গড়া রেকর্ড। সেবার মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে তারা ১৫৭ রানের লক্ষ্য ঠিক ১০ ওভারে ছুঁয়ে ফেলেছিল।
শুধু তাই নয়, ৬২ বল হাতে রেখে একশর বেশি রানের লক্ষ্য তাড়া করে আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বল বাকি রেখে জয়ের রেকর্ডটিও এখন হায়দরাবাদের দখলে। এর আগে ২০২২ আসরে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ১১৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫৭ বল হাতে ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের।
এদিন ম্যাচে মোট ১৪টি ছক্কা হাঁকান হেড-অভিষেক জুটি। এতেই আইপিএলের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটি এখন নিজেদের করে নিয়েছে হায়দরাবাদ। ১২ ম্যাচ শেষে কামিন্সের দলের ছক্কা এখন ১৪৬টি। আগের রেকর্ডটি ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। ২০১৮ সালের আসরে তারা ১৪৫টি ছক্কা হাঁকায়।
ম্যাচে ছেলেদের টি-টুয়েন্টিতে প্রথম ১০ ওভারে সবচেয়ে ৩০টি বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ড গড়ে হায়দরাবাদ, যেখানে ছিল ১৬টি চার ও ১৪টি ছক্কা। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকেই আসে ১৪৮ রান। বাকি রানের মধ্যে ১২টি সিঙ্গেল ও ২টি ডাবলস নেন হেড-অভিষেক জুটি।
এদিন পাওয়ার প্লে শেষে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ছিল ১০৭ রান, যা ছেলেদের টি-টুয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটিও তাদের। গত মাসে দিল্লির বিপক্ষে কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম ৬ ওভারে ১২৫ রান যোগ করেন হেড ও অভিষেক।
দলকে রেকর্ড গড়া জয় এনে দিতে ৩০ বলে ৮টি করে ছক্কা ও চারে ৮৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন হেড। ফিফটি হাঁকান ১৬ বলে, যা হায়দরাবাদের হয়ে যৌথভাবে দ্রুততম। চলতি আসরে ২০ বলের নিচে বাঁহাতি এই ব্যাটারের এটি তৃতীয় ফিফটি। অপর প্রান্তে ২৮ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৫ রান করেন অভিষেক।
রান-রেটের দিক দিয়েও রেকর্ড গড়েছেন হেড ও অভিষেক। প্রথম ওভারে এক চারে তারা তোলে ৮ রান। কিন্তু পরের ওভারগুলোতে লক্ষ্ণৌ বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালাতে শুরু করেন এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ওভারপ্রতি ১৭ দশমিক ২৭ রান করে তুলে আইপিএলে দেড়শ রানের বেশি জুটিতে সবচেয়ে বেশি রান-রেটের রেকর্ড গড়েন। টি-টুয়েন্টিতে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
মন্তব্য করুন: