আইপিএল প্রিভিউ : লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস
৩০ মার্চ ২০২৩
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের আইপিএল পথচলা শুরু গত বছর। প্রথমবারেই প্লেঅফে পৌঁছে যায় দলটি। প্রথম আসরে এমন সফলতার পর এবার বড় স্বপ্ন দেখা বাড়াবাড়ি নয় মোটেও। লক্ষ্ণৌ কি পারবে শিরোপা জিততে? কেমন দল তাঁদের? শক্তি-দুর্বলতা, স্টার প্লেয়ার, সম্ভাব্য নতুন তারকারা কী বার্তা দিচ্ছে? এক নজরে দেখে নেয়া যাক।
মোট খেলোয়াড়
২৫ জন
বিদেশী
৮ জন
স্কোয়াড
ওপেনার: কেএল রাহুল, কুইন্টন ডি কক, মনন ভোহরা।
মিডল অর্ডার: আয়ুশ বাদোনি, দীপক হুডা, নিকোলাস পুরান, মার্কাস স্টয়নিস।
উইকেটকিপার: কুইন্টন ডি কক, নিকোলাস পুরান।
অলরাউন্ডার: করণ শর্মা, মার্কাস স্টয়নিস, কে গৌথাম, দীপক হুদা, কাইল মায়ার্স, ক্রুনাল পান্ডিয়া, ড্যানিয়েল শামস, রোমারিও শেফার্ড, প্রেমাক মানকদ, স্বপ্নিল সিং।
স্পিনার: রবি বিষ্ণোই, অমিত মিশ্র।
ফাস্ট বোলার: আভেশ খান, মহসিন খান, মার্ক উড, মায়াঙ্ক যাদব, জয়দেব উনাদকাট, যশ ঠাকুর, নাভিন-উল-হক, যুধবীর চরক।
সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়
কেএল রাহুল: ১৭ কোটি রুপি
কোচিং স্টাফ
মেন্টর: গৌতম গম্ভীর
হেড কোচ: অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার
সহকারী কোচ : বিজয় দাহিয়া
ফিল্ডিং কোচ: জন্টি রোডস
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ
কেএল রাহুল, কুইন্টন ডি কক, দীপক হুডা, আয়ুশ বাদোনি, মার্কাস স্টয়নিস, নিকোলাস পুরান, ক্রুনাল পান্ডিয়া, মার্ক উড, রবি বিষ্ণোই, আভেশ খান, জয়দেব উনাদকাট।
শক্তি
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের সবচেয়ে বড় শক্তি তাঁদের অলরাউন্ডাররা। ক্রুনাল পান্ডিয়া, হুডা, স্টয়নিস, শেফার্ড, গৌথাম, মেয়ার্স, সামস – অনেক অলরাউন্ডার।
১৬ কোটি রূপি দিয়ে নিলামে কিনেছে যে নিকোলাস পুরানকে, তাঁর কাছেও বড় প্রত্যাশা থাকবে। ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা, ফিনিশারের ভূমিকা পালন করায়।
উড-আভেশ-উনাদকাটের পেস বোলিং বিভাগও শক্তিশালী।
দুর্বলতা
টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ের উপর বড্ড বেশি নির্ভরশীল ছিল তাঁরা গত মৌসুমে। এটা এবারও ভোগাতে পারে। অধিনায়ক কেএল রাহুলের দিকে খুব করে তাকিয়ে থাকবে দলটি। গত মৌসুমে তাঁর ব্যাটে ছিল রানবন্যা। যদিও ভারতের জার্সিতে সাম্প্রতিক সময়ে খুব ভালো ফর্মে নেই তিনি। ফর্মে নেই অসি অলরাউন্ডার স্টয়নিসও।
গত মৌসুমে লক্ষ্ণৌয়ের দারুণ ফলে বড় ভূমিকা ছিল বাঁহাতি পেসার মহসিন খানের। কাঁধের ইনজুরির কারণে এবারের আইপিএলের বড় একটা অংশ মিস করবেন তিনি। এটাও দলের আরেক চিন্তার বিষয়।
স্টার প্লেয়ার
লক্ষ্ণৌর স্টার প্লেয়ার হতে পারেন নিকোলাস পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানকে এবার কিনেছে দলটি। ১৬ কোটি রূপির বিশাল মূল্যে। প্রত্যাশাটাও তাই বেশি। ফিনিশারের রোলে থাকবেন পুরান। দুই-তিন ওভারে ম্যাচের রঙ পাল্টে দেবার সামর্থ্য আছে তাঁর। সেই সামর্থ্যের প্রতিফলন যদি পারফরম্যান্সে থাকে, তাহলে পুরানের ওপর বিশাল বিনিয়োগ বিফলে যাবে না। অন্তত লক্ষ্ণৌর আশা তেমনই।
নতুন তারকা
জায়ান্টসদের এই মৌসুমের নতুন তারকা হতে পারেন অলরাউন্ডার প্রেমাক মানকদ। গেল মৌসুমে অভিষেক হলেও খেলেছেন মাত্র ১টি ম্যাচ। তবে, এবার জায়ান্টসদের হয়ে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই নিজের প্রতিভা মেলে ধরতে চাইবেন। অলরাউন্ড প্রতিভায় দলে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অবদান রাখলে তিনি হয়ে উঠবেন এবারের লক্ষ্ণৌ টিমের নতুন তারকা।
প্রেডিকশন
নিজেদের অভিষেক মৌসুমে বাজিমাত করে প্লেঅফ খেলেছে লক্ষ্ণৌ। এবার তারা আরও অভিজ্ঞ। আগের ভুলগুলো চিহ্নিত করে সেভাবেই ক্রিকেটার কিনেছে নিলামে। স্কোয়াড তাই বেশ শক্তিশালী। শিরোপা কি জিতবে সুপার জায়ান্টরা? সম্ভবত না। আবারও প্লেঅফে উঠতে পারবে? হয়তো-বা; হয়তো না।
মন্তব্য করুন: