ঈশান-শ্রেয়াসের শাস্তির পেছনে আগারকার

বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করার শাস্তি হিসেবে শ্রেয়াস আইয়ার ও ঈশান কিশানকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দিয়েছিল বিসিসিআই। সে সময় অনেকেই ধারণা করেছিলেন বোর্ড সচিব জয় শাহর নির্দেশে এই দুই ক্রিকেটারকে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এর নেপথ্যে যে জয় ছিলেন না তা নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। ভারতের প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারের সিদ্ধান্তে এটি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব।

গত ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষ ভারতের টেস্ট সিরিজ চলাকালে ঈশান ও শ্রেয়াসকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার নির্দেশ দেয় বিসিসিআই। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এই দুই ক্রিকেটার সেই নির্দেশনা অমান্য করেন। শাস্তি হিসেবে তাদেরকে বোর্ডের নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিসিসিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এই দুই ক্রিকেটারের শাস্তির বিষয়ে জয় বলেন, “আপনারা ভারতীয় ক্রিকেটের সংবিধান খুলে দেখতে পারেন। বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয় আমি শুধু সেটা সবাইকে জানাই। সেই দুই ক্রিকেটার (ঈশান ও শ্রেয়াস) ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় তাদের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অজিত আগারকার।”

এছাড়াও দলের পাইপলাইনে এখন অনেক ক্রিকেটার থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন বিসিসিআই সচিব। ফলে, কেউ যদি বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করে তাহলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে।  

“আমাদের দেশে ক্রিকেটারের অভাব নেই। নতুন ক্রিকেটার উঠে আসছে। তাদের জায়গা দিতে হবে। তাই কেউ ভুল করলে শাস্তি পেতে হবে। কারও জায়গা চিরস্থায়ী নয়।”

তবে এখনও ঈশান ও শ্রেয়াসের জন্য জাতীয় দলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি বলেও জানান জয়। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করলে আবারও তাদের বিবেচনা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঈশান ও শ্রেয়াস জাতীয় দলে জায়গা না পেলেও আইপিএলে খেলছে। ওখানে ভালো খেললে ওরা নজরে আসবে। তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেললে আবার ভারতীয় দলে আসতে পারবে। সেটা পুরোটাই নির্বাচক ও ম্যানেজমেন্টের উপর নির্ভর করছে।”

চলমান আইপিএলে খুব একটা ভালো ছন্দে নেই ঈশান। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করলেও বড় সংগ্রহ নেই। অন্যদিকে শ্রেয়াসের নেতৃত্বে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।