বিশ্বকাপের আগে এখনও উন্নতির জায়গা দেখছেন শান্ত

বিশ্বকাপের আগে এখনও উন্নতির জায়গা দেখছেন শান্ত

আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি - ব্যবধানে জিতে শেষ করেছে স্বাগতিকরা। তবে পুরো সিরিজে দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, আসলে কতটুকু প্রস্তুতি নিতে পেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা? কিন্তু প্রস্তুতি যেমনই হোক, বিশ্বকাপের আগে আরও উন্নতির জায়গা দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরুর আগে থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিল বাংলাদেশের ব্যাটিং। সিরিজ শুরুর পর তা যেন বাস্তবে রূপ দেন ব্যাটাররা। কোনো ম্যাচে টপ-অর্ডার আবার কোনো ম্যাচে ব্যর্থ ছিল মিডল-অর্ডার। চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে ওপেনিং জুটি থেকে ১০১ রান আসলেও বাকি ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দল অল-আউট হয় ১৪৩ রানে। সেই ম্যাচ ছাড়া পুরো সিরিজে খুব একটা সাচ্ছন্দে দেখা যায়নি ওপেনারদের।

রোববার সিরিজের পঞ্চম শেষ টি-টুয়েন্টিতে দুই ওপেনারই ফেরেন রানের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ জাকের আলীর ব্যাটে ১৫৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। তবে লক্ষ্য তাড়ায় জিম্বাবুয়েকে তেমন চাপেই ফেলতে পারেনি স্বাগতিক বোলাররা। ওপেনার ব্রায়ান বেনেট অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ফিফটিতে বল আগেই উইকেটের সহজ জয় পায় সফরকারীরা।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরো সিরিজে দলের পারফরম্যান্সে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে অধিনায়ক শান্ত বলেন, “এই সিরিজে আমরা যেভাবে খেলেছি এখনও অনেক জায়গায় উন্নতির সুযোগ রয়েছে। আজকে রিয়াদ জাকের যেভাবে ব্যাট করেছে তাতে আমি খুশি। এটা ঠিক যে আজকে আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি। তবে মাঝের দিকে তা ঠিক করার সুযোগ ছিল। সাকিব ভাইও কয়েক ওভার ব্যাট করেছে। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।

সিরিজে বাংলাদেশকে সম্ভবত সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন লিটন দাস শান্ত নিজে। প্রথম তিন ম্যাচ খেলা লিটন ছিলেন একদমই নিষ্প্রভ। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৩ রান করলেও খেলেন ২৫ বল। আর তৃতীয় ম্যাচে এক স্কুপ শট তিনবার খেলার চেষ্টা করে বোল্ড হন এই ডানহাতি ব্যাটার। অন্যদিকে অধিনায়ক শান্ত পাঁচ ম্যাচে করেছেন কেবল ৮১ রান। এর মধ্যে প্রথম শেষ টি-টুয়েন্টি করেন যথাক্রমে ২১ ৩৬ রান।

তবে বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজে পুরো দল নিজেদের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে জানিয়ে শান্ত বলেন, “আমার মনে হয় বিশ্বকাপের জন্য আমরা নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করে তুলতে পারব। (বিশ্বকাপের আগে) যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে আরও তিন ম্যাচে নিজেদের ভালো করে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাব। সেখানে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।

আগামী জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। তার আগে ২১, ২৩ ২৫ মে সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

মন্তব্য করুন: