প্রতিপক্ষের ওপর দোষ চাপিয়েও রিশাভকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারেননি সৌরভ-পন্টিং
১২ মে ২০২৪
মন্থর বোলিংয়ের জন্য নির্বাসিত হওয়ায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে খেলতে পারবেন না দিল্লি ক্যাপিটালসের নিয়মিত অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। প্লে অফে যেতে দিল্লির জন্য এই ম্যাচ জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পান্তকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছেন দিল্লির ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গাঙ্গুলী আর প্রধান কোচ রিকি পন্টিং। তবে তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। পুরো ঘটনাটি প্রকাশ করেছে হিন্দুস্থান টাইমস।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী আসরে তিন ম্যাচে কোনো দল স্লো ওভার রেটের জন্য সাজা পেলে সেই দলের অধিনায়ক এক ম্যাচ নির্বাসিত হবেন। গত ৭ মে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ২০ রানে জয় পাওয়ার ম্যাচে স্লো ওভার রেটিংয়ের কারণে রিশাভকে ৩০ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জুটেছে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা। ম্যাচটিতে সঞ্জু স্যামসনের আউট ঘিরে বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়েছিল। এটাকেই ইস্যু বানিয়ে ম্যাচ রেফারির শুনানিতে রিশাভের সঙ্গে গিয়েছিলেন সৌরভ এবং পন্টিং।
শুনানিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী হেমাঙ্গ আমিন আর ম্যাচ রেফারি ড্যানিয়েল মনোহর। সেই শুনানির নথি থেকে একটি উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে হিন্দুস্থান টাইমস, “শুনানিতে উপস্থিত হয়ে আপিলকারীর (রিশাভ পান্ত) পক্ষে সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন, রাজস্থান রয়্যালসের ব্যাটাররা সেদিন ১৩টি ছক্কা মেরেছে। ছক্কা মারার পর বল ফেরত আনতে তিন বার ৩০ সেকেন্ড করে সময় দেওয়া হয়। রাজস্থান বেশি ছক্কা মারায় বল ফেরত আনতে বেশি সময় লেগেছে। এছাড়া সঞ্জু স্যামসনের আউট ঘিরে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে ৩ মিনিটের বেশি সময় নষ্ট হয়েছে।”
পন্টিং দাবি করেন, “দিল্লির বোলাররা ইনিংসের শেষদিকে বেশ কিছু ওয়াইড দেওয়ায় বাড়তি সময় লেগেছে। তাই এই বিলম্ব কমাতে আপিলকারীর (রিশাভ) কাছে পর্যাপ্ত সময় ছিল না।”
তবে সৌরভ আর পন্টিংয়ের যুক্তি গ্রহণ করেননি ম্যাচ রেফারি। বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী হেমাঙ্গ আমিন বলেছেন, “ম্যাচটিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের ব্যাটাররাও ১২টি ছক্কা মেরেছিল। কিন্তু রাজস্থান রয়্যালস ঠিকই ওভার-রেট মেনে বোলিং করে গেছে। এছাড়া আপিলকারী কোনো লিখিত বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, এ বিষয়ে তার স্বাধীনতা ছিল। ম্যাচ রেফারির দেওয়া সাজাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আপিলকারীর পক্ষ থেকে কোনো যথোপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ কিংবা কোনো পরিসংখ্যানও তুলে ধরা হয়নি।”
মন্তব্য করুন: