`আগেই হেরে বসে থাকব না`- বিশ্বকাপ প্রত্যাশা নিয়ে গাজী আশরাফ
১৪ মে ২০২৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদশের পরবর্তী তিন প্রতিপক্ষ হলো- দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস এবং নেপাল। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশ দল নেদারল্যান্ডস আর নেপাল ম্যাচকে টার্গেট করেছে। কিন্তু প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু মনে করেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগেই হেরে যাওয়া যাবে না। তার আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতাটাও অসম্ভব কিছু নয়।
বিশ্বকাপের আগমুহূর্তেও বাংলাদেশের টপ অর্ডার আগের মতোই নড়বড়ে। ছন্দে নেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসরা। অন্য দুই ওপেনারের মধ্যে তানজিদ তামিম এখনও নতুন। আর সৌম্য সরকারের নেই ধারাবাহিকতা। মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে ভরসা দিতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। পেস বোলিংয়ের মূল অস্ত্র তাসকিন আহমেদ ইনজুরিতে। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে তার না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। সেই দুটি ম্যাচই তো বড় দলের বিপক্ষে।
এরপরও বিশ্বকাপের সুপার এইটের স্বপ্ন দেখা অবাস্তব মনে হচ্ছে না গাজী আশরাফের কাছে। মিরপুরে মঙ্গলবার দল ঘোষণার পর বিশ্বকাপে প্রত্যাশা নিয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যাশা তো নিশ্চয়ই থাকে। এটাকে ভেঙে ভেঙে দেখতে হবে। প্রাথমিক রাউন্ডে প্রত্যাশা যতটা বেশি সুযোগ আছে... আমি যদি বলি, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আমরা আগে থেকেই হেরে বসে থাকব, তা নয়। প্রতিটি ম্যাচ আমরা জেতার জন্য চেষ্টা করব।”
ঘরের মাঠে গত মার্চে শ্রীলঙ্কার কাছে ২-১ ব্যবধানে টি-টুয়েন্টি সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে সেই শ্রীলঙ্কাকে হারানোটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না প্রধান নির্বাচকের, “বাস্তবতার নিরিখে আমি মনে করি, মোমেন্টাম পাওয়ার জন্য প্রথম ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই জায়গায় দুটি দলই বিশ্বাস করে, তারা একে অন্যকে হারাতে পারে। দুটি দলই চাপের মধ্যে থাকবে। সেটায় যারা জয়ী হবে, যদি আমরা জয়ী হই, সেখান থেকে আমাদের বাকি তিন ম্যাচের মধ্যে দুটি ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল দেখছি।”
প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দল যাবে সুপার এইটে। সেই হিসেবে প্রথম দুই ম্যাচ হারলেই নাজমুলদের সুপার এইটের আশা শেষ হয়ে যেতে পারে। এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই স্বপ্ন দেখাচ্ছেন গাজী আশরাফ, “দক্ষিণ আফ্রিকাকে যে হারানো যাবে না, সেটি বলছি না। তবে তারা সাম্প্রতিক সময়ে যে ধরনের ক্রিকেট খেলছে, সেই ছন্দের আলোকে অবশ্যই তাদের সঙ্গে আমাদের একটা ব্যবধান আছে। তাদের খারাপ খেলে কিংবা আমাদের বেশি ভালো খেলে ব্যবধানটা কমাতে হবে। এছাড়া আমি এই ঘাটতি ঘোচার বাস্তবিক অর্থে তুলনামূলক অনেক কম সম্ভাবনা দেখছি। সম্ভাবনাটা হিসেব করলে, বাস্তবিক সম্ভাবনার কথা যদি বলেন, কম।”
মন্তব্য করুন: