ফর্মে না হোক, পরিসংখ্যানে সেরা লিটন

ফর্মে না হোক, পরিসংখ্যানে সেরা লিটন

গত শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকেই ব্যাট হাতে ছন্দে নেই লিটন দাস। টানা অধারাবাহিকতায় টি-টুয়েন্টিতেও রানে নেই এই ব্যাটার। লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে রান করেছিলেন মাত্র ৪৩। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজেও রান খরায় ছিল তার ব্যাট। অথচ ২০২২ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার কিন্তু এই লিটনই। 

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে এই ফরম্যাটে মোট ১৯টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এই সময়ের মধ্যে লিটনের চেয়ে বেশি রান দেশের আর কোনো ব্যাটারই করতে পারেনি। এমনকি চারশ রানের বেশি করা ব্যাটারদের তালিকায় থাকা একমাত্র ক্রিকেটার ডানহাতি এই ওপেনারই।

এই সময়ের মধ্যে ১৫টি ম্যাচ খেলেন লিটন। দুই ফিফটিতে রান করেন ৪০২, সর্বোচ্চ ৮৩। গড় ২৮ দশমিক ৭১ এবং স্ট্রাইক-রেট ১২৭ দশমিক ২১। ডাক মেরেছেন কেবল একটি ইনিংসে। এছাড়াও এক অঙ্কের ঘরে আউট হয়েছেন চারবার। ৪৮টি চার হাঁকিয়ে আছেন এই তালিকার সবার ওপরে। ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় ডানহাতি এই ব্যাটারের অবস্থান তৃতীয়, তার ছক্কা ১০টি।

অন্যদিকে সবচেয়ে রান-সংগ্রাহকের তালিকার দুইয়ে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটনের মতো ব্যাট হাতে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না টাইগার অধিনায়কের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে একটি ফিফটি পেলেও তার ব্যাটে ধারাবাহিকতা নেই। স্ট্রাইক-রেট নিয়েও আছে বাড়তি দুশ্চিন্তা।

গত বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের খেলা সব ম্যাচে একাদশে ছিলেন শান্ত। দুই ফিফটিতে বাঁহাতি এই ব্যাটারের রান ৩৭৩। গড় ২৬ দশমিক ৬৪ হলেও স্ট্রাইক-রেট মাত্র ১১৪ দশমিক ৪১, যা টি-টুয়েন্টির এই যুগে বড্ড বেমানান।

তালিকার তিনে আছেন তাওহীদ হৃদয়। অধিনায়ক শান্তর মতো সব ম্যাচ খেলা তরুণ এই ব্যাটার ২৮ দশমিক ৫৩ গড় এবং ১৩৩ দশমিক ৯৩ স্ট্রাইক-রেটে রান করেছেন ৩৭১। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে হাঁকান ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধ-শতক। সবচেয়ে বেশি ১৫ ছক্কা এসেছে তার ব্যাট থেকেই।

বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা পাঁচে আরও আছেন জাকের আলী সাকিব আল হাসান। ১২৭ দশমিক ৯২ স্ট্রাইক-রেটে জাকেরের রান ১৯৭। অন্যদিকে ১০ ম্যাচ খেলা দেশসেরা অল-রাউন্ডার সাকিবের রান ১৬১, স্ট্রাইক-রেট ১২৯ দশমিক ৮৩।

মন্তব্য করুন: