ধর্ষণের মামলা থেকে খালাস লামিচানে, খেলতে পারবেন বিশ্বকাপেও

ধর্ষণের মামলা থেকে খালাস লামিচানে, খেলতে পারবেন বিশ্বকাপেও

নেপালের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম কারিগর সন্দ্বীপ লামিচানে ধর্ষণের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। বুধবার নেপালের উচ্চ আদালত এই রায় ঘোষণা করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, লামিচানে এখন আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারেন। যদিও নেপালের বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে তার নাম নেই, তবে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তন আনা যাবে।

নেপালের এই তারকা লেগ স্পিনার ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলে এক কিশোরীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হন। ভুক্তভোগী তরুণী মামলা দায়ের করলে লামিচানেকে নিষিদ্ধ করে নেপাল ক্রিকেট বোর্ড। বের হয় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। লামিচানে তখন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলছিলেন। টুর্নামেন্ট শেষে দেশে ফেরা নিয়ে শুরু করেন টালবাহানা। নেপাল পুলিশ তখন ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়ার ঘোষণা দিলে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরেন লামিচানে। সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর আদালত থেকে জামিন পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ফিরেছিলেন লামিচানে। যা নিয়ে নেপালের ক্রিকেটে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এমনকী প্রতিপক্ষ ক্রিকেটাররা লামিচানের সঙ্গে হাত মেলাননি! লামিচানে অবশ্য বরাবরই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। গত ডিসেম্বরে এ মামলায় লামিচানেকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপর গত ১০ জানুয়ারি লামিচানের ৮ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে রায়ের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানানোর পর কারাগার থেকে মুক্তিও পান লামিচানে।

ফের শুরু হয় আইনী লড়াই। ২৩ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। বুধবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন লামিচানে। রায়ের পর আদালতের বাইরে তার সমর্থকদের উল্লাস করতে দেখা যায়। নেপালের হাইকোর্টের মুখপাত্র বিমল পারাজুলি এএফপিকে বলেন, সন্দীপ লামিচানেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য ধর্ষণের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন লামিচানে। এমনকী সম্প্রতি তিনি ফেসবুকে লেখেন, আমি নির্দোষ। যারা আমাকে বিশ্বাস করেন এবং আমার ব্যাপারে সহমর্মী, তাদের প্রতি আমি ঋণী থাকব।

মন্তব্য করুন:

Add