বাবর আজমকে ভারমুক্ত করতে চান কারস্টেন
১৭ মে ২০২৪
পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেও এখনও দলের সঙ্গে যোগ দেননি গ্যারি কারস্টেন। আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে তার দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে কোচ হিসেবে তার ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ধারণা দিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ওপর দলের অতি নির্ভরশীলতা কমাতে চান।
কীভাবে পাকিস্তানের কোচ হলেন- এ বিষয়ে ‘টকস্পোর্টস’-এ এক আলোচনায় কারস্টেন বলেন, “আইপিএলে থাকতে ফোনকল পাই, তারা জিজ্ঞাসা করে, আমি আগ্রহী কিনা। আমি সব সময়ই আন্তর্জাতিক দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। এ পর্যায়ে কোচিং করা আসলে বড় ব্যাপার। ২০১৩ সালের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়িত্ব ছাড়ার পর আন্তর্জাতিক দায়িত্ব নেইনি। আমার সন্তানেরাও এখন একটু বড় হয়েছে, ফলে দেশের বাইরে থাকাটা সহজ। আর পাকিস্তানের মতো আন্তর্জাতিক দলের হয়ে কাজ করা আমার কাছে খুবই বড় ব্যাপার।”
বাবর আজমের ওপর দলের অতি নির্ভরশীলতা নিয়ে তার বক্তব্য, “এটা (বাবরের ওপর নির্ভরশীলতা) কোনো খেলোয়াড়ের জন্যই ন্যায্য নয়। দলের জন্য সবসময়ই কিছু করতে হবে- এমন চিন্তা থাকা উচিত নয়। বাবরের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। সে দলের অনেকটা বোঝা সে নিজের কাঁধে বহন করে। কোচিং স্টাফ হিসেবে আমরা যা করব, সেই বোঝার ভার একটু কমাব। সে যাতে আরেকটু স্বাধীনভাবে নিজের সহজাত খেলাটা খেলতে পারে।”
তবে পাকিস্তান দলে সমস্যার তো আর অভাব নেই। দল খারাপ খেললেই নানারকম নাটকের সৃষ্টি হয়। এই বিষয়গুলোও মাথায় রেখেছেন কারস্টেন, “যখন কোনো দল জিতবে না, সে দলে বিভক্তি তৈরি হবে। আমার দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে এটার প্রমাণ পেয়েছি। কোনো কোনো সংস্কৃতি ও পরিবেশে এই বিভেদকে আরও বড় করে দেখানো হয়। ২০ বছরেরও বেশি সময় কোচিংয়ে থাকলে অনেক কিছুই গা-সওয়া হয়ে যায়। আর এ ব্যাপারটি আমি কিন্তু ববের (উলমার) কাছে শিখেছি। তার মাঝে সত্যিই এরকম একটা গা-সওয়া ভাব ছিল।”
উল্লেখ্য, প্রয়াত বব উলমার একসময় পাকিস্তানের কোচ ছিলেন। ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই কোচের মৃত্যুও হয়েছিল রহস্যজনকভাবে। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কাছে পাকিস্তানের হারের পর টিম হোটেলে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দীর্ঘ তদন্ত শেষে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সেই রহস্যের কিনারা হয়নি। সেই প্রয়াত কোচকে এখনো প্রেরণা মনে করেন কারস্টেন।
মন্তব্য করুন: