লিটন দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার ও ফিল্ডার: হাথুরুসিংহে

লিটন দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার ও ফিল্ডার: হাথুরুসিংহে

ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের পর সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজেও রানের ধারায় ফিরতে পারেননি তিনি। তবে এরপরেও এই ব্যাটারের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছেন না চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। ব্যাটার হিসেবে লিটনের আলাদা পরিচিতি থাকলেও তাকে দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ।

ঘরের মাঠে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ পর একাদশ থেকে বাদ পড়েন লিটন। এই তিন ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে রান করেন যথাক্রমে ১, ২৩ ও ১২। ব্যাট হাতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দেও দেখা যায়নি তাকে। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ওয়ানডে দল থেকেই বাদ পড়েছিলেন এই ওপেনার।

তবে এত কিছুর পরেও লিটনকে এখনও দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার হিসেবে দেখেন হাথুরুসিংহে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিসিবির প্রকাশিত এক ভিডিওতে বিশ্বকাপ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নিয়ে নিজের অভিমত দেন টাইগারদের হেড কোচ। সেখানেই লিটনের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি আলাদা করে ফিল্ডিংয়ের করেন তিনি।

লিটন আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এই বিশ্বকাপে তার ব্যাটিং দিয়ে তার কাছ থেকে আমি বড় কিছু প্রত্যাশা করছি। সে খুবই প্রতিভাবান সহজাত খেলোয়াড়। সে কিপিং করতে পারে, ফিল্ডিং করতে পারে। সে অন্যতম সেরা ফিল্ডারও। যেকোনো পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারে। সে স্লিপে, আউটফিল্ডে যেকোনো জায়গায় পারে। তার ভিত্তি বিশ্বমানের। মাঠের বাইরে সে খুবই শান্ত থাকে। খেলাটা খুব ভালো বুঝে। ট্যাকটিক্যালি দলকে সহযোগিতা করে।

লিটনের মতো ব্যাট হাতে ছন্দে নেই নাজমুল হোসেন শান্তও। তবে তার নেতৃত্বগুণ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই হাথুরুসিংহে। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে শান্ত যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত জানিয়ে এই কোচ বলেন, “শান্ত আমাদের নেতা। খুব ভালো নেতা। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে জানে। ড্রেসিংরুমে থাকলে সে ছেলেদের সঙ্গে মেশে। তবে যখন মাঠে নামে তখন সে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে। আমার মনে হয় এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের অধিনায়ক হিসেবে তার কাছে অনেক দায়িত্ব আছে। আমি নিশ্চিত সে এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে চোটে পড়ায় বিশ্বকাপে তাসকিন আহমেদের অংশগ্রহণ করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কিন্তু সেই সব শঙ্কা উড়িয়ে সহ-অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন ডানহাতি এই পেসার। দলের প্রতি তার নিবেদনের আলাদা করে প্রশংসা করেন হাথুরুসিংহে।

তাসকিন খুব আবেগী মানুষ। সে ভালো মেজাজে থাকলে তার কাছ থেকে সেরাটা পাওয়া যায়। সে খেলোয়াড়দের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। কোচদের মাঝেও জনপ্রিয়। সব সময় দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। উন্নতির চেষ্টা করে। দলের মধ্যে থাকা দারুণ ব্যক্তিত্ব।

মন্তব্য করুন: