অধিনায়ক শান্ত ও সাকিব-রিয়াদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লিটন

অধিনায়ক শান্ত ও সাকিব-রিয়াদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ লিটন

একটা সময় পর্যন্ত জাতীয় দলের পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে বিসিবির পছন্দের তালিকার উপরের দিকেই ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গত ফেব্রুয়ারিতে নাজমুল হোসেন শান্তকে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্বের দায়িত্ব দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে নিজে দায়িত্ব না পেলেও নতুন অধিনায়কের কাজে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন লিটন। এছাড়াও সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকায় দলের সঙ্গে নতুনদের মানিয়ে নিতেও বেশ সুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই অস্থায়ীভাবে জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করছেন শান্ত। ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডকে হারানোর পর বাঁহাতি এই ব্যাটারের নেতৃত্বে কিউইদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। এরপর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজও জেতে শান্তর দল। এবার তার অধীনেই আসন্ন টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

বিসিবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক শান্তর প্রশংসায় পঞ্চমুখ লিটন বলেন, খুবই ভালো। সবশেষ কয়েকটা সিরিজ থেকে সে (শান্ত) অধিনায়কত্ব করছে। আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। যেহেতু সে একদমই নতুন এবং অনেকদিন পর কারো হাতে তিন ফরম্যাটেরই দায়িত্ব আসছে। সব মিলিয়ে যা দেখছি তাতে সে উন্নতি করছে। স্বাভাবিকভাবে যে কোনো মানুষের উন্নতির জায়গা থাকে, সে অনেক ভালো করছে।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব ও রিয়াদএবারের বিশ্বকাপ দলে সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে আছেন কেবল সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বর্তমান দলে এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অবদানের কথা বলতে গিয়ে লিটন জানান, তারা দলের সবার সঙ্গেই অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করেন। তাদের এই আচরণের কারণে দলে আসা নতুন ক্রিকেটাররা খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারছে।

আমার তো সাকিব ভাইকে দেখে মনে হয় না উনি অনেক পুরনো খেলোয়াড়। উনি সবার সঙ্গে যেভাবে মিশে যান… উনি অনেক ফ্রেন্ডলি। এটা অনেক বড় একটা জিনিস। এমনকি রিয়াদ ভাইও এখন অনেক ফ্রেন্ডলি। তারা সবাই নতুন যারা আসতেছে তাদের সঙ্গে ফ্রেন্ডলি আচরণ করে যেন তারা সহজে মানিয়ে নিতে পারে। একটা খেলোয়াড় যখন ১৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিকে খেলছে এবং আমি প্রথমবারের মতো ড্রেসিংরুমে ঢুকছি স্বাভাবিকভাবেই একটু নার্ভাসনেস সবার মধ্যেই থাকে। তাই এইদিক দিয়ে যারা আমাদের সিনিয়ররা আছে তারা আমাদেরকে কখনোই মনে হতে দেয় নাই। সবসময় স্বাগত জানিয়েছে এবং খুবই মিশুক প্রকৃতির ছিলেন।

মাঠে প্রায় বেশিরভাগ সময় গম্ভীররূপেই দেখা যায় লিটনকে। তবে বাস্তব জীবনে তিনি মোটেও এরকম নয় জানিয়ে ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বলেন, একেক মানুষের বৈশিষ্ট্য একেক রকমের থাকে। তবে আমাকে যে চেনে, জানে বা কাছ থেকে দেখেছে সে জানে আমি কতটা মিশুক। অনেক সময় হয় যে আমি মাঠে থাকলে কিছুটা অন্যরকম দেখা যায়। পরের বার থেকে আমি চেষ্টা করবো হাসার যেন মানুষ খুশি হয় (হাসি)।

মন্তব্য করুন: