যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও টেনেটুনে দেড়শ, মান বাঁচালেন মাহমুদউল্লাহ-হৃদয়

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষেও টেনেটুনে দেড়শ, মান বাঁচালেন মাহমুদউল্লাহ-হৃদয়

প্রথমবারের মতো দুই দল মুখোমুখি হয়েছে, যাদের শক্তির পার্থক্য প্রায় আকাশ-পাতাল। কিন্তু সেই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে পারফর্ম্যান্স দেখালেন, বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে তা চিন্তার উদ্রেক করতে যথেষ্ট। বরাবরের মতোই ধসে পড়েছে টপ অর্ডার। হাল ধরেছেন সেই তাওহীদ হৃদয় আর মাহমুদউল্লাহ। ২০ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।

হিউস্টনে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রিত বাংলাদেশের ইনিংস উদ্বোধন করেন লিটন দাস আর সৌম্য সরকার। দুজনের মাঝে সৌম্য শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। আর লিটন ছিলেন তার বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্রের সাদামাটা বোলিংয়ের বিপক্ষেও তিনি ধুঁকছিলেন। ব্যাটিং কিংবা শরীরী ভাষায় ছিল না আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া। শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ১৪ রান করে জসদীপ সিংয়ের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। তার বিদায়ে ৪.৩ ওভারে ভাঙে ৩৪ রানের ওপেনিং জুটি।

অপর ওপেনার সৌম্য সরকারও ফিরেন পরের ওভারে। স্টিভেন টেইলরের ফুলার লেন্থের বল মিড উইকেট দিয়ে ওড়াতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন এই মারকুটে ব্যাটার। আউট হওয়ার আগে খেলেন ১৩ বলে ৩ চারে ২০ রানের ইনিংস। উইকেটে এসে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও সেই ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি হয়ে থাকেন। ১১ বলে মাত্র ৩ রান করে টেইলরের বলে স্টাম্পড হয়ে যান। যুক্তরাষ্ট্রের ঘরের ছেলে সাকিব আল হাসানও রান-আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি।

তবে একপ্রান্ত আগলে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন তাওহীদ হৃদয়। ১৫তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে। ৪০ বলে ফিফটি পূরণ করেন হৃদয়। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে করেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের জুটি। ১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ৩১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। অন্যদিকে হৃদয়ও ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ৪৭ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৫৮ রানে। বাংলাদেশ তোলে ৬ উইকেটে ১৫৩ রান।

মন্তব্য করুন: