হেডের আতঙ্কের নাম স্টার্ক
২২ মে ২০২৪
এবারের আইপিএলে বিস্ফোরক ব্যাটিং দিয়ে বেশ আলোড়ন তুলেছেন ট্র্যাভিস হেড। কম বেশি সব ম্যাচেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। অস্ট্রেলিয়ার হয়েও নিয়মিত ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে আসছেন তিনি। বিশ্বের বেশিরভাগ বোলার যখন হেডের সামনে এক প্রকার দিশেহারা, তখন মিচেল স্টার্ক যেন তার কাছে মূর্তমান এক আতঙ্কের নাম।
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলে ভিন্ন দলের হয়ে খেলেন হেড ও স্টার্ক। এখন পর্যন্ত এই দুই অজি ক্রিকেটার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন মোটে সাতবার। এর মধ্যে পাঁচবারই হেডের উইকেট তুলে নিয়েছেন স্টার্ক, যেখানে চারবার রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন হেড।
এই দুই ক্রিকেটার প্রথম একে অপরের মুখোমুখি হন ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর, অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ওয়ানডে কাপে। স্টার্কের নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগের ম্যাচেই দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১১৮ বলের বিস্ফোরক এক ডাবল-সেঞ্চুরি হাঁকান হেড। কিন্তু এদিন প্রথম বলেই বাঁহাতি এই ব্যাটারের স্ট্যাম্প উপড়ে ফেলেন স্টার্ক।
একই আসরের ফাইনালে ২৫ অক্টোবর আবারও স্টার্কের গতির কাছে পরাস্ত হন হেড। এদিন ১ রান করে বোল্ড হয়েই সাজঘরের পথ দেখেন তিনি। পাঁচ দিন পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে স্টার্কের বলে আবারও গোল্ডেন ডাক মারেন হেড। তবে এবার নিজের স্ট্যাম্প বাঁচাতে পারলেও ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের হাতে।
দুই বছর পর শেফিল্ড শিল্ডে আবার এই দুই ক্রিকেটারের দেখা হলে শেষ হাসি হাসেন স্টার্কই। এবারও বাঁহাতি এই পেসার প্রথম বলেই হেডের স্ট্যাম্প ভাঙেন।
আর সবশেষ মঙ্গলবার আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই কোনো রান না করা হেডের স্ট্যাম্প ভাঙেন স্টার্ক। আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারকে গত ডিসেম্বরে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু শুরুর দিকে দলের হয়ে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তবে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলকে জেতান ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপির স্টার্ক। এবারের আসরে ১৩ ম্যাচে তার উইকেট এখন ১৫টি।
অন্যদিকে চলতি আইপিএলে ১৩ ইনিংসে ৪ ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে ৫৩৩ রান নিয়ে রান-সংগ্রাহকের তালিকার তিনে আছেন হেড। ৪৪ দশমিক ৪১ গড় ও প্রায় ২০০ স্ট্রাইক-রেটে এই রান করতে বাঁহাতি এই ওপেনার ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩১টি, চার ৬১টি।
মন্তব্য করুন: