এমন হারেও বিব্রত নন সাকিব, কমেনি তার দম্ভ

এমন হারেও বিব্রত নন সাকিব, কমেনি তার দম্ভ

জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের সঙ্গে খেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হবে না- ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলাকালীন একটি শো রুম উদ্বোধনে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন সাকিব আল হাসান। অথচ এই দুটি দলের বিপক্ষে তার খেলা সবশেষ চার টি-টুয়েন্টির মধ্যে তিনটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ! কিন্তু সাকিব যেন সাকিবই আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হেরেও কমেনি তার দম্ভ। লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে ম্যাচ শেষে পাল্টা আক্রমণ করলেন সাংবাদিকদের।

বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতে ৬ রানে হেরে সিরিজ খুঁইয়েছে বাংলাদেশ। লো স্কোরিং ম্যাচটিতে বল হাতে ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দলের অতি প্রয়োজনের সময় ইনসাইড এজড হয়ে খুব দৃষ্টিকটূভাবে বোল্ড হয়ে যান। এরপর দলের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে লজ্জিত হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন সাকিব।

শুরুতেই সাকিবের মুখে শোনা যায় একগাদা অভিযোগ আর অজুহাত, ম্যাচের আগে আমরা একদির প্রোপার নেট সেশন পেয়েছি। তাও ব্যাটারদের যতটুকু ব্যাটিং অনুশীলন করার দরকার ছিল তারা সেটা করতে পারেনি। আমার কাছে সেটাকে আদর্শ মনে হয়নি। একদিন ছিল ঐচ্ছিক, সেখানে ব্যাটাররা সুযোগ নেয়নি। আপনি দুটোতেই দোষ দিতে পারেন। যেদিন সুযোগ ছিল সেদিন কেন ব্যাটাররা এসে ব্যাটিং করল না! আবার এটাও বলতে পারেন, যেহেতু আমরা (বিশ্বকাপের) প্রস্তুতিমূলক সিরিজ হিসেবে নিয়েছিলাম, কেন আমরা এ সুবিধাগুলোগুলো নিতে পারলাম না। দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে। এই জিনিসগুলো আমাদের অনেক ভালো হওয়ার দরকার ছিল।

এগুলোই যুক্তরাষ্ট্রের মতো দলের কাছে টি-টুয়েন্টি সিরিজ হারের কারণ কিনা- এমন প্রশ্নে সাকিবের পাল্টা আক্রমণ- আমি কি বলেছি, এসব কারণে বাংলাদেশ হেরেছে? এরপর তিনি প্রশ্নকর্তা সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনি যদি অল্প বোঝেন তাহলে তো সমস্যা! তার কাছে জানতে চাওয়া হয় দলের মূল সমস্যাটা কোথায়? সাকিবের কাটখোট্টা জবাব, আমি বলতে পারব না। এটার জবাব আমার কাছে নেই। আমি জানলে তো টিমকে বলতাম, রেজাল্ট অন্যরকম হতো।

যে দলের বিপক্ষে খেলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হবে না বলে মন্তব্য করেছিলেন সাকিব, তাদের কাছে সিরিজ হারের প্রভাব বিশ্বকাপে পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই পড়তে পারে, আবার নাও পড়তে পারে।

এমনই ছিল সাকিবের প্রেস কনফারেন্স। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের পর যেখানে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল, লজ্জিত হওয়া উচিত ছিল, সেখানে তিনি নিজের দম্ভ দেখিয়ে দেন। যেন সাংবাদিকরাই এই হারের জন্য দায়ী!

মন্তব্য করুন:

Add