১০ উইকেটের জয়ে নিজেদের ভয়ংকর রূপ দেখাল বাংলাদেশ

১০ উইকেটের জয়ে নিজেদের ভয়ংকর রূপ দেখাল বাংলাদেশ

লক্ষ্য ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। এই ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছাড়া বাড়তি কিছুই আশা করেনি সমর্থকেরা। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্তর দল দেখিয়ে দিল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। মুস্তাফিজুর রহমানের আগুনে বোলিংয়ের পর সৌম্য-তানজিদের ব্যাটে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছে ১০ উইকেটের ব্যবধানে। এই প্রথমবার টি-টুয়েন্টিতে ১০ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ। ম্যাচসেরা হয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ১০৫ রানের টার্গেটে ৫০ বল হাতে রেখেই পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। তানজিদ তামিম তার ৭ ম্যাচ ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন ৩৯ বলে। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪২ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৫৮ রানে। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার এদিন ব্যাট করেছেন ১৫৩.৫৭ স্ট্রাইকরেটে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪ চার ২ ছক্কায় ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১১.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

এর আগে হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৪ রান তোলে যুক্তরাষ্ট্র। স্বাগতিকদের ব্যাটিং লাইন-আপে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব। ১৫ বলে ২৭ করা আন্দ্রিস গউসকে সৌম্য সরকারের তালুবন্দি করে তিনি ৭০০তম আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার করেন। পঞ্চম ওভারে ৪৬ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। অপর ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১৮) ফেরান মুস্তাফিজ। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

নিতিশ কুমার (৩), মিলান্দ কুমার (৭), ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অ্যারন জোন্স (২) আউট হলে ৬০ রানে ৫ উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ বলে ১৮ রান করা কোরি আ্যান্ডারসন মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকার হন। ১৯তম ওভারে স্বাগতিকদের স্কোর তিন অঙ্ক স্পর্শ করে। শেষ ওভারটি করতে এসে জসদীপ সিংকে (৬) বোল্ড করে নিজের পঞ্চম শিকার ধরেন মুস্তাফিজ।

আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে এটা তার দ্বিতীয় পাঁচ উইকেট। প্রথমবার নিয়েছিলেন ২০১৬ বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। তবে এখানেই থামেননি মুস্তাফিজ। ইনিংসের শেষ বলে নিসর্গ প্যাটেলকে বোল্ড করে ৬ষ্ঠ শিকার ধরেন। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ খরচ করেন মাত্র ১০ রান। এটা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।

মুস্তাফিজের পাশাপাশি বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব, সাকিব আল হাসান এবং রিশাদ হোসেন।

মন্তব্য করুন: