ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সময় দিতে ওয়ানডে ছাড়ার ইঙ্গিত স্টার্কের

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সময় দিতে ওয়ানডে ছাড়ার ইঙ্গিত স্টার্কের

দীর্ঘ নয় বছরের বিরতির পর এবারের আসর দিয়ে আইপিএলে ফিরেছেন মিচেল স্টার্ক। গত বছর নিলামে টুর্নামেন্টের ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার এই পেসারকে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে আসরের শুরুর দিকে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে না পারলেও প্লে-অফে এসে ঠিকই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। প্রথম কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল সেরা হয়ে দলকে করেছেন চ্যাম্পিয়নও। দলকে শিরোপা জিতিয়ে এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটি ফরম্যাট ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্টার্ক।

ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা জাতীয় দলকে দিতে নিজেকে আইপিএল থেকে দূরে সরিয়ে রাখেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি এই পেসার। তবে ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে এসে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আরও সময় কাটানোর কথা ভাবছেন স্টার্ক। এক্ষেত্রে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ইঙ্গিত দেন তিনি।

রোববার চেন্নাইয় কলকাতাকে শিরোপা জেতানোর পর সংবাদ সম্মেলনে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেন স্টার্ক। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “গত ৯ বছর আমি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটকেই প্রাধান্য দিয়েছি। আমি নিজের শরীরকে বিশ্রামের সুযোগ দিয়েছি এবং ক্রিকেট থেকে দূরে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছি।”

দেখুন, আমি নিশ্চিত করেই আমার ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে গেছি। একটা সংস্করণ হয়তো বাদ দেব। পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনেক দূরে। ফরম্যাটটা আমি চালিয়ে যাব কি না...এটা হয়তো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দরজা আরও খুলে দেবে।”

এবারের আসরের আগে সবশেষ ২০১৪ ও ২০১৫ মৌসুমে আইপিএলে খেলেন স্টার্ক। চলতি মৌসুমে তার ফেরাটাও হয় রেকর্ড গড়ে। ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে তাকে দলে নেয় কলকাতা। শুরুটা ভালো না হলেও ১৪ ম্যাচে বাঁহাতি এই পেসারের শিকার ১৭ উইকেট। প্লে-অফের দুই ম্যাচে শিকার ৫ উইকেট। বিশ্বকাপের আগে এরকম টুর্নামেন্টে খেলতে পেরে খুবই উচ্ছ্বাসিত তিনি।

আমি মৌসুমটা খুব উপভোগ করেছি। এটা দারুণ ছিল। এটার আরেকটা লাভ হলো, টুর্নামেন্টটি বিশ্বকাপের আগে হয়েছে। বিশ্বকাপের আগে অসাধারণ সব খেলোয়াড়ের মুখোমুখি হতে পেরেছি। বিশ্বকাপের আগে এটা দারুণ এক ব্যাপার।”

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মনোযোগী হওয়ার কথা বললেও আগামী মৌসুমে আইপিএল খেলবেন কি না – এমন প্রশ্নের উত্তরে স্টার্ক বলেন, “আগামী বছর, আমি সূচিটা ঠিক জানি না। তবে আমি উপভোগ করেছি। আগামী মৌসুমে ফিরে আসার জন্য আমি উন্মুখ হয়ে আছি। সম্ভবত বেগুনি ও সোনালিতেই (কলকাতার জার্সির রং) দেখা যাবে।”

২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্টার্কের। অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে বাঁহাতি এই পেসার এখন পর্যন্ত ৮৯টি টেস্ট, ১২১টি ওয়ানডে ও ৬০টি টি-টুয়েন্টি খেলেছেন। এই সময়ের মধ্যে সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টুয়েন্টিতে খেলেছেন ১৩৭টি।

মন্তব্য করুন: