ঐতিহাসিক পাকিস্তান বধের নায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন

ঐতিহাসিক পাকিস্তান বধের নায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন

১৯৯৯ সালের পহেলা জুন সকালে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছিল বিজয়ের আনন্দ। ইংল্যান্ডে বসেছিল বিশ্বকাপের আসর।  তখন এত মুঠোফোন বা ইন্টারনেট কিছুই ছিল না। টিভি ছিল না ঘরে ঘরে। আগের দিন রাতে রেডিওতে কান পেতে পুরো দেশ জেনেছে বিশ্বকাপের মঞ্চে নবীন দল বাংলাদেশ বিরাট একটা কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছে। আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজনদের কাছে হার মেনেছে মহাপরাক্রমশালী পাকিস্তান! অনেকের মনেই ছিল অবিশ্বাস, এটাও কি সম্ভব?

প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বাংলাদেশ। আনকোরা একটি দলের থেকে প্রত্যাশার কিছু ছিল না। উপভোগের মন্ত্র নিয়েই তারা বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই দলটির বিপক্ষেই যা একটু জয়ের আশা ছিল। কিন্তু খালেদ মাহমুদ সুজনরা সেই বিশ্বকাপে যা করেছিলেন, তা পুরো ক্রিকেট দুনিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। একটির জায়গায় দুটি জয় নিয়ে দেশে ফিরেছিল টিম টাইগার।

৩১ মে নর্দাম্পটনে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল মহাপরাক্রমশালী পাকিস্তান। কে ছিলেন না পাকিস্তানের সেই দলটিতে? সাঈদ আনোয়ার, শহিদ আফ্রিদি, ইজাজ আহমেদ, ইনজামাম-উল-হক, ওয়াসিম আকরাম, সাকলাইন মুশতাক, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার- ক্রিকেট ইতিহাসের বড় বড় সব নাম। ওয়াসিম আকরামের নেতৃত্বাধীন এই দুর্দান্ত দলটিকে সেদিন ৬২ রান হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। হতবাক হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেট দিয়েছিল আগমনী বার্তা।

ব্যাট হাতে ৩৪ বলে ২৭ রান এবং বল হাতে ৩১ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। আজ যাকে অনেকেই গতিদানব বলে ঠাট্টা করে থাকেন, সেই সুজনই ছিলেন তখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের হিরো। ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছিলেন আকরাম খান। জবাবে ৪৪.৩ ওভারে মাত্র ১৬১ রানে গুটিয়ে যায় দুর্ধর্ষ পাকিস্তান দল। ওই ঘটনার পর দেশের ক্রিকেট তরতর করে এগিয়ে যেতে থাকে। একটা সময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায়।

মন্তব্য করুন: